বৃহস্পতিবার, ২৮ মে, ২০২০

ফেরারী আঁধার -কবি নুরুন নাহার আক্তার বকুল

আলোক পৃথিবীটা থমকে আসছে হয়তো,
বিচ্ছুরিত ভূবন ফেরারী আঁধারে যেনো ঢাকে।
চশমার ফ্রেম গুলোও খুব ভারি বোধ হয়,
শব্দের অক্ষরগুলো যেনো কালো বিন্দু বিন্দু!
চোখের সামনে অযথাই ঢেউ খেলে সদা সমীরণ,
ভূ-কম্পনে ঝাঁকিয়ে দেয় আশেপাশের সব চেনাদিক!
সোনালি আভারা কেনো এমন মেঘে মেশে যায়,
কেনো ঝরাতে আসেনা আর অশ্রু বারিধারা!!
স্বপ্নেরা যেথা ডানা জাপটে আশা নাচন খেলে,
অন্তঃক্ষরণগুলো যেনো দোলে নিরাশার দোলাচলে!
তবু আশাহত হতে শিখেনা এই দগ্ধ হৃদয় সম,
আজও স্বপ্নবুননে ক্ষান্ত করার সাধ্যাতীত সে!
আঁধারে ঢাকা এই চোখে আলোক বিলিয়েছে,
কতো স্বপ্ন বোনেছে আর যতনে গড়েছে কচিপ্রাণ!
তোমাদের চোখ যখন উচ্চ শিখরে চড়ায় সাধে,
তার চোখ তখন বিলায় আপনারে জগতময়!
যখন তোমরা আপন সুখ ভোগে মত্ত্ব থাকো,
ওচোখ তখন নির্ঘুম অশ্রুধারায় ভেসেছে।
শিকল পরাবার ছলে বাঁধন জড়িয়েছো তারে,
সত্যিকারের সুখ আদৌ পেয়েছো হৃদভূমে!
সমাধি হোক তব আঁধার আসার আগে,
জমুক বুনো ফুলেরা সেথা আপন ভালবাসায়।
পুষ্পেরা হেসে হেসে রবির আলোয় নাচবে যবে,
এসো নাহয়,, দু'ফোঁটা বারি ঝরায়ে হাসবে একা!
নিঃসঙ্গ হাহাকারে নির্বিচারগুলো রেখো গুটিয়ে,,
যা তুমি করেছিলে দান,ভালবাসার অভিনয়ে!
যে আলো প্রজ্জ্বলিত হাজারে কচি ও শুভ্র প্রাণে,,
খোদা তুমি সে আলো দিও না'কো নিভিয়ে!
নিঃশ্বাসে নিঃশেষ অবগাহনে ভেবে যাই আনমনে,
একফোঁটা অশ্রুও যেনো অভিশাপ হয়ে নাহি ঝরে!
স্বপ্নেরা এসো আলিঙ্গনে, ভালবাসার কঠিন দ্বারে,,
আলো নিয়ে ফিরবো হয়তো আবার আঁধার ভূবনে!!

রবিবার, ২৪ মে, ২০২০

সেকালের ঈদ - কবি মোক্তার আহমেদ ,সিলেট কৃষি বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষক।

একদা আমারও ঈদ আসিত মহানন্দে,
চোখে নিদ্রা নাহি আসিত জাগিতাম সানন্দে।
পিতার কাছে ধরিতাম বায়না নতুন জামা চাই,
বর্গাচাষি পিতা শূন্য হস্তে থাকিত নিরুপায়।
সেকালে ছিলাম মোরা চারি ভাই বোন,
কষ্টে পিতা যোগাত ডাল, ভাত আর নুন।
প্রতিবেশী সবাই যখন পড়িত বস্ত্র নতুন,
ভাই বোন মোরা আফসোসিতাম কত শত গুন।
পিতা যখন হাটে যাইত থাকিতাম উদগ্রীব,
কখন আসিবে পিতা, জ্বালাইয়া রাখিতাম প্রদীপ।
রিক্ত হস্তে পিতা যখন আসিত ঘরে ফিরি,
উপোস থাকিতাম মোরা পিতার সহিত অভিমান করি।
শয়ন কক্ষে মাতা-পিতা কষ্টে করিত প্রলাপ,
একদা তাহাদের সংলাপ হেরিয়া, হইলাম অনুতাপ।
সেইদিন হইতে করিলাম পণ, হইব বড় মস্ত,
সমগ্র অপূর্ণরে করিয়া দূর পূর্ণিব পিতার হস্ত।
বড় হইবার বাঞ্চ্ছা নিয়া পাঠ করিলাম শুরু,
একে একে পাঠ চুকাইয়া হইলাম শিক্ষাগুরু।
একালে আর নাহি মোর অন্ন বস্ত্রের অভাব,
তবু অন্যের লাগিয়া কাদি মন এই মোর স্বভাব

মানুষের মূল্য-কবি মোক্তার আহমেদ,সিলেট কৃষি বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষক।

ছোট্ট শিশু পিতাকে করিল প্রশ্ন শত,
জানিবার চাহিল মানুষের মূল্য কত?
পিতা সন্তানেরে দিতে চাহিল শিক্ষা,
পস্থরখন্ডের দ্বারা তাই দিয়াছিল দীক্ষা।
পিতা বলিল পস্থরখানি বিক্রি করিবে বাজারে,
দাম হাকিবে উচাইয়া দুই অংগুলি করে।
প্রথমদিন বাজারে নিইয়াছিল পস্থরখানি,
দুই অংগুলি দেখিয়া ক্রেতা বুঝিল দুইশত পেনি।
দ্বিতীয় দিন পস্থর নিয়া গিয়াছিল যাদুঘরে,
কর্তা শোধাইল বিক্রি করিবে কি দুই হাজারে?
তৃতীয়দিন পস্থর লইয়া দেখাইয়তে গিয়াছিল বণিক,
বণিক বার্তায় পস্থরের মূল্য হইবে দুই লক্ষের অধিক।
তিন স্থানের তিন রকমের মূল্য শুনি,
জিজ্ঞাসিল পিতারে বিস্ময়ে শিশুমনি,
একই পস্থরের মূল্য হইল কেন ভিন্ন পেনি?
পিতা শোধাইল মানুষের মূল্য পস্থরেরই মতন,
উপযুক্ত মূল্য পাহিবে, পাহিলে উপযুক্ত জন,
কোথাও তুমি ছাই হইবে, কোথাও তুমি রতন।

শুক্রবার, ২২ মে, ২০২০

মহাবিশ্বের রহস্য-কবি মোক্তার আহমেদ,সিলেট কৃষি বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষক।

হে মহাবিশ্বের মহারাজ,তুমি বিশ্বভ্রহ্মন্ড করিয়াছ সৃজন,
সৃষ্টির রহস্য তুমি লুকাইয়াছ, করোনি উন্মোচন।
পনের শত কোটি বৎসর পূর্বে মহাবিশ্বকে রাখিয়াছিলে করিয়া অতি পরমাণু,
মহাবিস্ফোরণ ঘটাইয়া সৃজিলে ছায়াপথ আর গ্রহাণু।
সপ্ত নক্ষত্র দিয়া জ্যোতিষ্কমন্ডল গড়িয়াছ এ বিশ্বভ্রম্মান্ডে,
গোল, সর্পিল আর অবয়বহীনে নভশ্চরকে রূপাইয়াছ বাষ্পপিন্ডে।
বেটেলগমকে বৃহৎ করিয়া লুব্ধককে করিয়াছ উজ্জ্বলতম,
ধরণীকে বাসযোগ্য করিতে সূর্য্যিরে করিলে নিকটতম।
জীমূতবিহীন তমসাচ্ছন্ন আকাশে দিয়াছ ঋক্ষমন্ডলী,
কালপুরুষ, ক্যাসিওপিয়া আর দিয়াছ সপ্তর্ষিকুন্ডলি।
ধূলিকণা, নভশ্চর আর বাষ্পকুন্ডে গড়িয়াছ ছায়াপথ,
কসমিক ইয়ার হই প্রয়োজন ঘুর্ণন করিতে রথ।
ধুমকেতুরে করিয়াছ উজ্জ্বল ঝাঁটার ন্যায় দীর্ঘ বাষ্পময়,
হেলবপ নাকি সর্বাধিক উজ্জ্বল কহেন জ্যোতির্ময়।
অষ্ট গ্রহের সৌর পরিবার ঘুরিছে ক্রমাগত,
ধরণী মোদের ঘুরিছে চৌদিক পাহিছে আলোক যত।
সমস্ত শক্তির উৎস করিয়া সূর্য্যিরে করিলে দান,
সূর্য্যির কাছে অন্য সৃষ্টিরে ঋণি করিয়াছ হে মহান।
সূর্য আর ধরনীর মধ্যে চন্দ্র আসিলে ঘটাও অমবস্যা,
পূর্ণিমা তিথি হই ধরণীকে চন্দ্র- সূর্য করিলে গ্রাস্যা।
এই অসীম সৃষ্টির মধ্যে ক্ষুদ্র মোরা, করি অহংকার,
বুঝিবার সাধ্য নাহি মোদের রহস্য তোমার।

বৃহস্পতিবার, ২১ মে, ২০২০

প্রশংসা তোমার-কবি মোক্তার আহমেদ,সিলেট কৃষি বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষক।


 হে অধিপতি মহান, তোমারই স্তুতি বহমান,
আঠারো হাজার সৃষ্টিতে শ্রেষ্ঠাইয়াছ মানব সন্তান।
অংকুর গরিয়াছ মোদের জনক জননীর ভ্রুণকোষে,
তনু মোদের বাধিয়াছ নিপুণ দীর্ঘ শাসে।
লহু, পলল খাচায় বাধিয়া পাঠাইয়াছ পরবাসে,
পেনি ছাড়া পবন দিয়াছ মোদের ভালবেসে।
দুইশত ছয় কাঠির নির্জীব এই কক্ষে,
পেন্ডুলাম আনতশির করিয়াছ বাঁ বক্ষে।
মর্মদেশ মোদের কম্পিছে আটচল্লিশ হাজার প্রতি ষাটে,
অধিকম্প মোদের গুপ্ত হইলে বিলীন হইব এই হাটে।
জ্ঞাত মোদের দিইয়াছ মস্তিষ্কে করিতে শ্রেষ্ঠ,
সমগ্র সৃষ্টিরে সৃষ্টিলে করিতে মোদের তুষ্ট।
সৃষ্টি তোমার সেবিছে মোদের হুকুমে ক্রমাগত,
মোদের তুমি ফরমাশিলে করিতে মস্তকনত।
ফরমাইয়েশ ভূলিয়া মোরা চাইলাম দুনিয়াদারি,
মন্দ চোরার ফান্দে পড়িয়া করিলাম পুকুর চুরি।
হুকুম তোমার অমান্য করি, পাপ যে পর্বত সমান,
তবু ক্ষমা করিয়া যাও মোদের তুমি রহমান।

মঙ্গলবার, ১৯ মে, ২০২০

আমন্ত্রণ-নাসরিন জাহান

আকাশ নেমে এসো নিচে
বেয়ে বেয়ে স্বপ্নের তরী
চল আজ বনে উৎসব করি।
সব সময় উপরে থাকতে
তোমার ভালো লাগে
আমি সবুজে ভরা,
মুখরিত মাটির গন্ধে
কখনো আঁকাবাকা পথ দূরে অংকিত হয়
পাখিরা খুঁজে নেয় সবুজ আলয়।
বুনো ফুলেরা অভিরাম সুভাস দেয়
ঠিক আপনের ন্যায়।
এসো আজ উপভোগ করি
নেমে এসো নিচে
চলো আজ বনে উৎসব করি।
চাঁদ, তারা,সূর্য ছাড়া ও
তোমার দেয়ালে থাকে
কত নামি-দামি নক্ষত্র
আমার সবুজে আছে শুধু সজিবের সৌমিত্র
দিও না কিছু , নিয়ে যেও সবুজের জড়ি
শাল-পিয়ালের গন্ধে মাতোয়ারা হয়ে
চলে যাবে আবারও তারকা রাজির কাছে
যখন ক্রিং ক্রিং করে
বেজে যাবে সময়ের ঘড়ি
আকাশ , নেমে এসো নিচে
চলো আজ বনে উৎসব করি।
আমার কোথাও ঝোপের অন্ধকার
কোথাও বুনো ফুলের চমকপ্রদ বাহারি অলংকার
আকাশ, পিছিয়ে পড়বে সব কবিতার বাণী
প্রিয় দর্শনীই হবে বুনোফুলের রানী।
নেমে এসো নিচে
খুশিতে লুটিয়ে পড়ি
চলো আজ বনে উৎসব করি।।

শনিবার, ১৬ মে, ২০২০

সংক্ষিপ্ত সফর- কবি মোক্তার আহমেদ,বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষক।

সংক্ষিপ্ত সফর

কবি মোক্তার আহমেদ,বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষক।


সদা উতলায় রই ঘোর, এই সংক্ষিপ্ত সফর মোর, স্বল্প নিশির সংসার ভ্রমণে যাইতে হইবে বহু দূর। অনন্ত প্রভাতের যাত্রী আমি গন্তব্যের নাহি শেষ, কঠিন দড়িয়া পাড়ি জমাবো বাহনের নাহি রেশ। শুরু মোর হইয়াছিল জনক মস্তিষ্কের ভাঁজারে, জননী মোর ঠাই দিয়াছিল তাহার জঠরে। মন্দহীনে ছিলাম বেশ মাতৃকার উদরে, অশান্ত মন বিদ্রোহীল না থাকিতে কুটরে। দশকাল পর এলাম যখন মুক্ত সমীরণে, দৃষ্টিলাম ভূবন,পাহিলাম চলন মাতৃবিহনে। ইন্দন, বারি, মৃত্তিকা এই ত্রয়ের বন্ধনে, নিশি মোর শুরু হইল ক্ষুদার আলিংগনে। মধ্য নিশি হেলায় ফুরাইল নবীন যৌবনে, লৌহ বিদুৎ বহিল অংগে গহীন শব্দহীনে। কনীনিকায় নামিল কামলালসা লাবন্য বদনে, বিমুখ হইলাম রাজধিরাজের মন্দের কারণে। প্রান্ত নিশি আসিলে মোর তনু হইলে আবল্য, চেতনা জাগৃল অন্তরে ক্ষয়িতে নিশি কল্য। দ্বিপ্রহরে জাগৃত আমি চাহি মনিবের অনুকূল্য, মনিব সুধায় একে দিলাম সত্তর হইবেনা সমতূল্য। নিশির প্রান্তে শূন্য হীয়ায় কাকুতি অজরে, প্রভাতের ঝুলি মোর রইল অসার, এই সংক্ষিপ্ত সফরে।

শুক্রবার, ১৫ মে, ২০২০

শীতের ভোর - ফখর উদ্দিন মোবারক শাহ

 শীতের ভোর

ফখর উদ্দিন মোবারক শাহ 


হাড় কনকন শীত পড়েছে,
ভীষণ লাগে ‍ঠাণ্ডা,
ভোর-বিহানে সুবাস ছড়ায়,
খেজুর রসের ঘ্রাণটা।

খেজুর রসের গরম পায়েস
ভারি মজার নাস্তা,
রসের লিটার খুব দাম নয়,
কিনতে অনেক সস্তা।

রোদের ঝিলিক একটু খানি
যেথায় এসে পরে,
বুড়া-বুড়ি ,নাত-নাতনীরা
এসে সেথায় ভীড়ে।

মুড়িওয়ালা হাঁক ছাঁড়ে 
খৈ লাগবে খৈ খৈ,
নয়া ধানে টুকরি ভরি,
তাই দিয়ে খই লই।
আমন ধানের মাড়া হতে
ভেসে আসে ঘ্রাণ,
নতুন ধানের পিঠা খাবো
উঠলো নেচে প্রাণ।       

মঙ্গলবার, ১২ মে, ২০২০

মায়ের শূণ্যতা - ফখর উদ্দিন মোবারক শাহ

 মায়ের শূণ্যতা

ফখর উদ্দিন মোবারক শাহ


মা জননী নেই বাবুলের এই দুনিয়ার মাঝে,
বাবুল,বাবুল ডাকবে কে আর সকাল-সন্ধ্যা-সাঁঝে।
রাত পোহালে মা জননী তুলতো তারে ডেকে,
শিয়রে বসে হাত বুলাত স্নেহের পরশ এঁকে।
ঘুম থেকে উঠে বাবুল দেখত মাকে পাশে,
মায়ের মুখে চাদেঁর হাসি ঝলমলিয়ে ভাসে।
দুধের সর দিত মা চুপিচুপি তারে ডেকে,
চম্ চম্ ভাজা কিনে দিতো ফেরিওয়ালা থেকে।
বলতো বাবুল ,বড় হয়ে মা দিব কিনে শাড়ী,
তোমায় নিয়ে ঢাকা যাব, চড়ব চাকার গাড়ী।
বাবুল এখন বড় মহাজন ঢাকায় বাড়ী গাড়ী,
মা আজ নেই দুনিয়ায় গেলেন সবই ছাড়ি।
থাকলে মা হতেন খুশি পরাণ যেত ভরে,
বুঝবে সে জন বুকের বেদন মা নেই যার ঘরে।

খোকার ইচ্ছা -ফখর উদ্দিন মোবারক শাহ

খোকার ইচ্ছা

ফখর উদ্দিন মোবারক শাহ


নানী বাড়ী যাবে খোকা পালতোলা নায় চড়ে,
সেথায় গিয়ে মিশে যাবে ফুল-পাখিদের ভীড়ে।
পাখির মত পালক-ডানা থাকত যদি তার,
ফুড়ুৎ করে উড়ে গিয়ে হতো নদী পার।
এ বন হতে ও বন যেতো পাখায় করে ভর,
দেখত উড়ে শালিক পাখি কেমনে বাধে ঘর।
হতো যদি প্রজাপতি ঘুরতো ঘাসের বনে,
হাতেম তাঈর কেচ্ছা বলতো ফুলের কানে কানে।
আবার ভাবে হতো যদি নিজেই গোলাপ ফুল,
সুবাস দিয়ে ভোমারাদের করত সে আকুল।
নিজের গায়ে বসতে দিতো সতেজ দলের পিড়ি,
দেখতো কেমনে মক্ষিকারা মধু করে চুরি।
হতো যদি ডলফিন সে কিংবা তিমি মাছ,
দেখতো চেয়ে হাঙর - চাঁদা কেমনে খেলে নাচ।
ফুলপাখিদের ভাল্লাগে তার মন চায় করতে দোস্তি 
ভাল্লাগেনা কারো সনে করতে তার কুস্তি

বুলবুলি- ফখর উদ্দিন মোবারক শাহ






বুলবুলি

ফখর উদ্দিন মোবারক শাহ

বুলবুলি কেওয়ার ঝোঁপে বেধেছে একটি ঘর,
একটুখানি বায়ুর ঝাঁপটায় হয় তা নড়বড়,
তাতেই একদিন স্ত্রী বুলবুলি পারলো চারিডিম,
বাসাখানি অদূর হতে দেখায় টিম টিম।
স্ত্রী বুলবুলি তা’ দেয় তাতে পুং বুলবুলি উড়ে,
ছোট ফড়িং পোকামাকড় ঝাঁপ মেরে ধরে।
আহার এনে দেয় সে স্ত্রী বুলবুলির মুখে,
পরম মমতায় নিজ ডিমগুলো আগলালো যে বুকে।
প্রাত: কালে ঝোঁপের অদূরে বসি আমি রোজরোজ,
আমার দু’চোখ এক পলকে নেয় ওদের খোঁজ।
ওদের দেখে ভাল লাগে মনটা পিয়ে সুখ,
সুযোগ পেলে ওদের দেখে জুড়াই আমার চোখ।
গরমের ছুটি শেষ তাই ফিরলাম আমার স্কুলে,
স্কুল হোষ্টেলে ঘুমে দেখি বুলবুলির ঝোঁপ দোলে
মনটা আমার আনচান করে ফিরে যেতে বাড়ী,
এই বুলবুলিরা আসার কালে হৃদয় রাখলো কাড়ি।
বান এলো তাই বন্ধ স্কুল চলে এলাম বাড়ী,
গিয়ে দেখি মাঠের বুকে স্রোতের গড়াগড়ি,
ডোবার পাড়ে কেওয়ার ঝোঁপ জলের নিচে চাপা,
বুলবুলিদের কথা ভেবে মনটা লাগলো কাঁপা।
অজান্তে মোর আঁখিদ্বয় কান্না করলো শুরু,
কোথায় গেল বুলবুলিরা বলতে কি কেউ পারো?
বাড়ী থেকে খোঁজলাম আমার স্বপ্নের দু’টো পাখি,
খোঁজ পেলামনা ফিরে এলাম আজো কাঁদে আঁখি।

সোমবার, ১১ মে, ২০২০

বৃষ্টি এলো- ফখর উদ্দিন মোবারক শাহ

বৃষ্টি এলো 
ফখর উদ্দিন মোবারক শাহ 

আকাশটা ঢেকে দিলো কালো মেঘের ভেলা,
সূর্য আর মেঘে মেঘে লুকোচুরি খেলা।
শীতল বায়ু উড়ে এসে গরম নিলো চুষে,
গরু নিয়ে বাড়ি ফিরছে রাখালেরা রুসে।
ডোরে বাধা ছাগলগুলো করলো ভ্যাঁ ভ্যাঁ শুরু,
ওদেরকে বাড়ি আনতে মাঠে গেল নুরু।
মেঘে মেঘে ঘর্ষণ লেগে বিজলী চমকে উঠে,
ঝাঁকে ঝাঁকে পাখিরা নীড়ের দিকে ছুটে।
পুকুর পাড়ে বাধা গরু হাম্বা হাম্বা ডাকে,
ফিরে ফিরে তাকায় তারা আমার মুখের দিকে।
একদৌঁড়ে পুকুর পাড়ে আনতে গেলাম গরু,
দখিন দিকে প্রবলবেগে বৃষ্টি হলো শুরু।
গরুটাকে গোয়াল ঘরের কোণে বাধার কালে,
বৃষ্টির ঝড়ি ধাক্কা দিল মোদের ঘরের চালে।

কাদা-ফখর উদ্দিন মোবারক শাহ

কাদা
ফখর উদ্দিন মোবারক শাহ

বৃষ্টির পানি জমে হয়েছে কাদা,
আজকাল কাদা হলো পথের বাধা।
জামায় কাদা লাগে হাঁটতে গেলে,
কেউ বা পরে যায় পা পিছলে।
শরীরে লেগে যায় কাদার ছিটা,
বন্ধুরা জুড়ে দেয় হাসি ঠাট্টা।
রাস্তায় চলাচলে হয় খুব কষ্ট,
কাদা লেগে সুজুতা হয়ে যায় নষ্ট।
কাদা পথে বেড়ে যায় গাড়ির ভাড়া,
উপায় নেই ও পথে হাঁটা ছাড়া।
খালি পায়ে পথ হেঁটে পায়ে হয় ঘা,
তেমনি কষ্টে চলে মানুষ যেখানে গাঁ।

বৃষ্টি - ফখর উদ্দিন মোবারক শাহ

বৃষ্টি 


ফখর উদ্দিন মোবারক শাহ

দিনভর বৃষ্টি ঝরছেতো ঝরছেই,
জেলেরা নদে মাছ ধরছেতো ধরছেই,
বৃষ্টিতে মাঠ-ঘাট ভরছেতো ভরছেই,
বৃষ্টিতে ভিজে গরু চড়ছেতো চড়ছেই,
ঝরছেই, ধরছেই, ভরছেই ,চড়ছেই,
বৃষ্টির পানি ড্রেন দিয়ে সরছেই।।

গাছের লতা-পাতা দুলছেতো দুলছেই,
কৃষক মাঠে কাজ করছেতো করছেই,
ডানামেলে শালিক উড়ছেতো উড়ছেই,
মিষ্টি সুরে দুয়েল ডাকছেতো ডাকছেই,
দুলছেই, করছেই, উড়ছেই, ডাকছেই,
কালোমেঘের ভেলাগুলো আকাশটা ঢাকছেই।

মাছ ধরা - ফখর উদ্দিন মোবারক শাহ

মাছ ধরা 

ফখর উদ্দিন মোবারক শাহ


দু’দিনের একটানা বৃষ্টিতে জোয়ার উঠেছে মাঠে,
আজ কেন জানি বসেনা মন সকালের পাঠে।
যেদিকে তাকাই পানি আর পানি যেন নূহের প্লাবন,
এমন দিনে বেরুতে বাইরে আছে মায়ের বারণ।
চেয়ে দেখি খালের মুখে জলের গড়াগড়ি,
মহা আনন্দে চলছে সেথায় মাছ ধরাধরি।
বড় কোন মাছ পেলে সবাই হৈ চৈ করে,
মন কি  আর ঘরে রাখা যায়  আজ ধরে?
আমিও জাল নিয়ে গেলাম সেথা ছুটে,
মাছ ধরার মজাটা নিলাম খুব লুটে।
ফিরে এসে মাছগুলো মাকে দিতে গেলাম,
মায়ের  বকা আচ্ছা করে  আজ আমি খেলাম।

বৃষ্টির দিনে - ফখর উদ্দিন মোবারক শাহ

বৃষ্টির দিনে 

ফখর উদ্দিন মোবারক শাহ


বাদলের ধারা অবিরাম ঝরে,
কাজের লোকেরা বন্দী ঘরে।
রাখাল গায় গান মেঠু সুরে
শিশু চুপচুপ মায়ের ক্রোড়ে।
কেউ খেলে দাবা কেউ খেলে লুডু,
খোকা টঙ্গিতে ঘুরায় লাড্ডু।
তসবি জপে তমার দাদী
ছাগল রেখেছে কে বারান্দায় বাধি।
অপু পড়ে গল্প বিছানায় শুয়ে,
খুকী গুণা শিখে চার দুয়ে দুয়ে।

রিমঝিম বৃষ্টি- ফখর উদ্দিন মোবারক শাহ



রিমঝিম বৃষ্টি 

ফখর উদ্দিন মোবারক শাহ


রিমঝিম সুরে ঝরছে বৃষ্টি, 
মন আজ পেয়েছে দারুণ তুষ্টি,
ঘুমঘুম দু’চোখে বৃষ্টির ছন্দে,
আকাশ দাঁড়িয়েছে কালো মেঘ পিন্দে।
বিজলী যেন তার অঙ্গের গয়না,
ঝলকে কাঁপে মোর পোষা ময়না।
মেঘের হুঙ্কারে জাগে মনে শঙ্কা,
যেন বাজে আসমানে যুদ্ধের ডঙ্কা,
আসমানে তাড়া করে বজ্র শেল
ভয়ে কাঁপে বিছানায় আমার দেল।

বৃষ্টি পরে- ফখর উদ্দিন মোবারক শাহ

বৃষ্টি পরে

ফখর উদ্দিন মোবারক শাহ


সূর্যটা ডুবে গেলো,
এলো নেমে সন্ধ্যা।
সাজঁ পাখি ডাকে নাকো,
প্রকৃতি মন্দা।
দিনভর ঝরঝর
বৃষ্টি ঝরছে
সন্ধ্যায় আগকালে
বৃষ্টি থেমেছে।
সন্ধ্যা কেটে গেল,
শুরু হলো রাত্রি,
মেঘমালা আকাশের
ভাসমান যাত্রী।
কাল মেঘ আকাশে
উড়ে উড়ে ভাসছে,
চাঁদটা তার ফাঁকে
মাঝে মাঝে হাসছে।
ক্রমে ক্রমে ভাসা মেঘ
গেল কোথা হারিয়ে,
চাঁদ তার জোসনা
দিল রাতে ছড়িয়ে।

বৃষ্টি এল- ফখর উদ্দিন মোবারক শাহ

বৃষ্টি  এল

ফখর উদ্দিন মোবারক শাহ


বৃষ্টি  এল দিনদুপুরে,

কালমেঘে চড়ে,


খুকীর পায়ের নুপুর ছন্দে


ঝরঝরিয়ে ঝরে।


সূর্য করে মেঘের সাথে


লুকুচুরি খেলা,,খোকা-খুকু খেলা করে


ভাসায় নদে ভেলা।


মায়ের নিষেধ হেলা করে


বৃষ্টিতে আজ ভিজে


,কাদা মেঘে খোকা-খুকি


ভূতের মত সাজে।


ভায়ের শাসন ,মায়ের বারণ


সকল বাধা টুটে,

ঘুরে বেড়ায় বৃষ্টির দিনে


আউশ ধানের মাঠে।

ধান ক্ষেতের ফড়িং ধরে
ঢুকায় শিশির ভিতর,
প্রাণ হারিয়ে সবুজ ফড়িং
হয়ে যায় নিথর।
ফড়িং গুলো তুলে দেয়
শালিক পাখির মুখে,
বন্দী শালিক আহার করে
তৃপ্তি ভরা সুখে।

রবিবার, ১০ মে, ২০২০

নালিশ -ফখর উদ্দিন মোবারক শাহ

নালিশ

ফখর উদ্দিন মোবারক শাহ

মা মরার ক’দিন পরে খোকা গেল ঘুম,
দু’চোখ মুদে রাত দুপুরে লাগলো ঘুমের ধুম।
স্বপ্নে দেখল অচিন লোকে ডাকছে তারে মা,
গায়ে তার পরা ছিল সাদা রংঙের জামা।
বলল মা তারে ডেকে, আয়রে খোকা বুকে,
দুধ মাখা ভাত তুলে আজি দেব তোর মুখে।
মাকে পেয়ে ছোট্ট খোকা হল কত খুশী,
আঁধার রাতের তিমির ভেঙ্গেঁ উঠলো ফুটে শশী।
মায়ের কাছে করল নালিশ বাপ যে তারে মারে,
বিয়ে করে এনেছে এক নতুন বধূ ঘরে।
সে তাকে দেয় না খেতে মারে তারে লাথি,
বই নিয়ে পড়তে বসলে নিবায় ঘরের বাতি।
বাবা তাকে আর ডাকেনা আদর মাখা সুরে,
গরু নিয়ে মাঠের পাশে যায় সে উঠে ভোরে।
রোদের চড়ে দাগ পড়ে তনু গেল পুড়ে
আদর-সোহাগ করে তারে কেউ নেয়না ক্রোড়ে।
ডিম বেচার টাকায় মা জামা দিছিল কিনে,
তাতে কত তিল পড়েছে ছিরেছে খানে খানে।
বাবার কাছে চাইলে জামা ধমক দিয়ে বলে,
আমি টাকার গাছ লাগাইনি ছাড়ব টাকা জলে।
কাল গাইয়ের দুধ কি আর কপালে তার জোটে?
তালের তৈরী পিঠার স্বাদ পায়না তার ঠোঁটে।
জড়িয়ে ধরে মাকে খোকা ,মাগো চল ঘর,
তুমি ছাড়া এ ভুবনে সবই আমার পর।
মা কেঁদে কয়-থেকে যা আমার খাঁ খাঁ বুকে,
ঘুম যে খোকার ভেঙে গেল কাকের কা কা ডাকে।
চোখ খুলে দেখল খোকা বালিশ গেছে ভিজে
মা জননী নেই যে তার,আর কি পাবে খোজে।

শনিবার, ৯ মে, ২০২০

মায়ের প্রতি ভালবাসা- ফখর উদ্দিন মোবারক শাহ

মায়ের প্রতি ভালবাসা

ফখর উদ্দিন মোবারক শাহ

একটি ছেলে ওর মাকে অনেক ভালোবাসে,
মায়ের সুখে মায়ের দুখে দাঁড়ায় মায়ের পাশে।
মা যখন ঘর ঝাড়তে হাতে নেয় শলার ঝাড়ু,
ছেলেটা কয়,আমি দেই ঝাড়,মা ঝাড়ু ছাড়ো।
মা যায় ধোতে হাঁড়ি-পাতিল,গ্লাস,চামচ,থালা,
ছেলে বলে, আমি ধোই জড়িয়ে মার গলা।
মা যায় টয়লেটে হারপিক দিতে স্নান করার আগে,
ছেলে বলে,করছি সাফ,তুমি তুলো ফুল বাগে।
মাছ কুটিতে বসলে মা,ছেলেটি দৌঁড়ে আসে,
এটাতো বাবা পারবিনা,মা বলে আর হাসে।
ছেলে বলে,মা,পারতে হবে তোমার যে কষ্ট হয়!
মা বলে, এতসব কাজতো ছেলেদের বেলায় নয়।
ছেলে বলে,সবই করতে পারি তোমার সুখের তরে,
আওয়াজ হল,তুমি আমার প্রিয়,চিনেছ আমারে?

শুক্রবার, ৮ মে, ২০২০

আল্লাহ সবার মালিক - ফখর উদ্দিন মোবারক শাহ

আল্লাহ সবার মালিক 

ফখর উদ্দিন মোবারক শাহ


আল্লাহ মোদের  সবার মালিক  
আমরা গোলাম বান্দা,
তিনি দেন সবার রিযিক
বেশি কিংবা মান্দা।

ইজ্জত দেন তিনি
আবার কেড়েও নেন তিনি,
তাঁর ইশারায় ধনে ধনী
তাঁর ইশারায় ঋণী।

যাকে ইচ্ছা সম্পদ দেন,
দেন বিদ্যা বুদ্ধি,
বিপদ দিয়ে অভাব দিয়ে
করান আত্মশুদ্ধি।

হায়াত মওতের মালিক তিনি
তাঁর হকুমেই সব,
তিনিইতো মালিক সবার
তিনিই মোদের রব।

ছাগল ছানা - ফখর উদ্দিন মোবারক শাহ

ছাগল ছানা 

ফখর উদ্দিন মোবারক শাহ


ছাগল ছানা এপাশ ওপাশ
ইচ্ছেমতো লাফায়,
কভু এদিক কভু ওদিক
মাথা নেড়ে দাফায়।

একটু দূরে সখিনাদের
ছিলো মাটির চূলা,
সেই চূলাতে আগুন ছিলো
মুখ ছিলো তার খোলা।

হঠাৎ দৌড়ে তাধিন তাধিন
পড়লো ‍চূলায় ছানা,
চূলার ছালি চোখে লাগায়
ছাগল ছানা কানা।

পা দুটি ততক্ষণে
অনেক পুড়ে গেছে,
পানি ঢাললো ওর ওপরে
যারা ছিলো কাছে।

অবোধ ছানার হলো জানা
আগুন কত কড়া,
তাধিন তাধিন নাচ যে এখন
হলো তার সারা।

যেখানেই যায় ছাগল ছানা
চুপটি মেরে থাকে,
পা দুটি মুড়িয়ে সদা
ভ্যাঁ ভ্যাঁ করে ডাকে।

বৃহস্পতিবার, ৭ মে, ২০২০

গরম -ফখর উদ্দিন মোবারক শাহ

গরম

ফখর উদ্দিন মোবারক শাহ


গরম লাগে  সবখানে,
গরম ফ্যানের বাতাস,
এত গরমে ধৈর্য্য হারাই
করি হায়  ‍হুতাশ।
জৈষ্ঠমাসের ওই সূর্যটা
এত গরম ঢালে,
ঘামের জোয়ার বয় গরমে
শরীর গলে গলে।
ঠান্ডা কুক পানটা আন,
আন ফ্রিজের পানি,
তবু মন হয়না ঠান্ডা,
বরফ দাও আনি।
বরফ সেও মানলো হার,
জৈষ্ঠের গরম দিনে,
সূর্যকে কই, তেজ কমাও
দেব আলতা  কিনে।

কালবৈশাখী - ফখর উদ্দিন মোবারক শাহ

কালবৈশাখী 

ফখর উদ্দিন মোবারক শাহ


পাড়া -গাঁয়ে মাঝরাতিতে হানলো আঘাত ঝড়,
গাছ-পালা উপড়ে দিলো গুড়িয়ে দিলো ঘর।
ঘুম চোখে নেই ছলিম করিম কোথায় থাকবে রাতে,
ঘর বানাবে এমন টাকা নেইতো তাদের হাতে।
ধার চেয়ে পায়নি টাকা শেষে কী আর  করে,
হালের বলদ বিক্রি করলো অতি সস্তা দরে।
গরুর টাকায় ঘর বানালো বন্ধ এখন চাষ
কালবৈশাখী ঝড় এসে সব করলো সর্বনাশ।

গাঁয়ের পাখি - ফখর উদ্দিন মোবারক শাহ

গাঁয়ের পাখি
ফখর উদ্দিন মোবারক শাহ


দোয়েল,কোয়েল,শালিক পাখির কূজন শুনবি আয়
শহর ছেড়ে নীরব নিথর কাঁচা পথের গাঁয়।
পথের ধারে ঝোঁপের ঝাঁড়ে বুলবুলিরা উড়ে,
বকের সারি তেপান্তরে লোকায় মেঘের ক্রোড়ে।
বাবুই পাখি বাসা বাঁধে নারকেলের শাঁখে,
আয় ছুটে আয় আমার গাঁয়ের সোনাই নদীর বাঁকে।
টুনটুনিরা আপন মনে যখন তখন উড়ে,
বুলকি মারে হুতোম পেঁচা শিশির ভেজা ভোরে।
মাছরাঙা ধ্যান করে রয় পাকুর পাড়ের ঝোঁপে,
ভাসা মাছের দম কেড়ে নেয় ভীষণ মারণ চোপে,
এযে ঘুঘু পাখি,চুড়ুই পাখি কানা বগীর গাঁ,
কাঠ ঠুকরা শক্ত দাতেঁ গাছে মারে ঘা।
নাইরুলী দিঘীর ঘাটে টুপ টুপ দেয় ডুব,
চোখ জুড়ায় দেখিস যদি টিয়ে পাখির রুপ।
গায়ের মাঠে ক্ষেতের আলে ডাহুক করে খেলা,
হলদে পাখির করুণ সুরে মনে বাড়ে জ্বালা।
সবুজ রাঙা টিয়ে পাখির কচিৎ মিলে দেখা,
বসন্তে কোকিল ডাকে আপন মনে একা।

বুধবার, ৬ মে, ২০২০

মোরা তিন ভাই-ফখর উদ্দিন মোবারক শাহ

এক ঘরে শুই মোরা
তিনজন লোক,
একজন অন্যকে
বলি সুখ-দুখ।
তিন দেশের তিনজন,
মনে মনে ভাব,
প্রাণ খুলে হাসাহাসি,
করি তিন সাব।
স্কুলে পড়াই একজন,
আরেকজন সুপার,
বাড়ি করে দেখাশোনা
বাবুল সরকার।
মোরা হই ভাই ভাই,
যেন সহোদর,
এই বাধঁন থাকবেই
সারা জনম ভর।
তিন ভাই গান গাই
করি হাসাহাসি,
একজন অন্যকে
খুব ভালোবাসি।

কূপি - ফখর উদ্দিন মোবারক শাহ

কূপি 

ফখর উদ্দিন মোবারক শাহ


কূপি জ্বলে মিটি মিটি
শেষ হল তেল,
সলতের প্রাণ যাবে
বাজে শেষ বেল।

শিখা ওর নিবু নিবু
যায় বুঝি প্রাণ
শিখা হতে ভেসে এল
বিচ্ছিরি ঘ্রাণ।

চেপে ধর নাকটা
কি যে এক গন্ধ,
আলো দেয় কত বেলা,
শেষকালে মন্দ।

কেরোসিন খেতে দাও,
সলতের হবে বল,
বিদ্যুৎ ছুটি নিল,
কূপিটাই সম্বল।

খোকার জিজ্ঞাসা -ফখর উদ্দিন মোবারক শাহ

চাঁদ যদি হয় আমার মামা
তারা আমার  কী ?
আকাশ তুমি দাওনা বলে
কী নাম ধরে ডাকি।
চাঁদের আছে ভাগ্না-ভাগ্নি 
সুরুজ মামার যেমন,
তারাদের কেউ নেইতো আপন,
মনটা করে কেমন!
সূর্য দিনে ছড়ায় আলো,
চাঁদ করে দূর রাতের কালো
সূর্যের আলো তেজে ভরা
মামার মেজাজ তেমনি কড়া?
চাঁদের জোসনা বিলায় আদর
ঠিক যেন তা মামার কদর
সুরুজ  আমার কেমন মামা?
আগুন দিয়ে ভরা উদর।
বলো আকাশ, বলো চাঁদ ,
তারা আমার কী?
সুরুজ এত তেজী কেন?
তবু মামা ডাকি।

মঙ্গলবার, ৫ মে, ২০২০

বৃষ্টির ছড়া -ফখর উদ্দিন মোবারক শাহ

বৃষ্টির ছড়া 

ফখর উদ্দিন মোবারক শাহ 


কড় কড় ডাকে মেঘ,
ঝর ঝর ঝরে,
ভর ভর মাঠ-ঘাট,
জল কোথা’ ধরে।
থৈ থৈ নদী-নালা
ছুঁই ছুঁই পাড়ি,
হৈ চৈ দুই ধারে,
মাছ ধরা ধরি।

ঝিঁ ঝিঁ পোকা - ফখর উদ্দিন মোবারক শাহ

সত্য ও সুন্দরের পথে এসো হে নবীন, কিশোর আমরা আমাদের জীবনে ফুটাব নতুন রাঙা ভোর।

ঝিঁ ঝিঁ পোকা 

ফখর উদ্দিন মোবারক শাহ


ঝিঁ ঝিঁ পোকা ঝিঁ ঝিঁ পোকা 
কোথায় তোমার বাড়ী?
এমন সুরে ডাক তুমি
সইতে কি আর পারি?

এত ডাকে কান উড়ে যায়
মাথায় ধরে পাক,
কবে তুমি চুপটি করে
বন্ধ করবে ডাক?

বাঁশবাগানের পেছন দিকে
থাক নাকি তুমি?
গর্ত খুঁড়ে ঘর বানাতে
লাগে কয়টুক জমি?

কিসের তরে একটানা সুুর
বাজে তোমার মুখে?
তোমার ডাক বন্ধ করে
কার সেই শক্তি থাকে?

এতটানা সুরে তুমি
কেমনে রাখ দম?
কারে কর বকাবকি
কে বা তোমার যম্?

ঘুম যেতে চাই একটু থাম
ওরে ঝিঁ ঝিঁ পোকা
এত ডেকে শক্তি মজাও
আস্ত একটা বোকা।

তোমার কাছে এই মিনতি
চুপটি কর ভাই,
রাত চলে যায় জেগেই থাক,
ঘুম কি তোমার নাই?

জোঁক -ফখর উদ্দিন মোবারক শাহ

জোঁক 

ফখর উদ্দিন মোবারক শাহ


নেই হাড় নেই দাঁড়
দুই দিকে মুখ,
ওকে দেখে ভয় পায়
দুনিয়ার লোক।

দুই মুখ, নেই চোখ,
জনমের অন্ধ,
হুঁশ তার কেড়ে নেয়
রক্তের গন্ধ।

মাছ নয়,মাংস নয়
শুধু খায় রক্ত,
চান্স পেলেই খায় সে,
নেই কোন অক্ত।

একবার খাওয়া খেলে
ছয়মাস চলে,
ঘাসঝাড়ে থাকে সে
আর থাকে জলে।

চুপচাপ ধরে পায়ে
কেউ কি দেখে?
পেটভরে ঝড়ে পরে
বুঝে কয় লোকে?

ব্যাথা হয় চুলকায়
বুঝে যখন লোক,
পায়ে দেখে লালদাগ
খেয়ে গেল জোঁক।

খুকুমণি - ফখর উদ্দিন মোবারক শাহ

খুকুমণি 

 ফখর উদ্দিন মোবারক শাহ


বিকেল হলে পুতুল খেলে
ছোট্ট খুকুমণি,
ওর পাশে থাকে বসে
আধ বুড়ি এক নানী।
খেলার সাথী ওরই মতন
পাশের বাড়ীর মিনা,
ওর সাথে খুুকুমণির
অনেক দিনের চেনা।
ওরা দু’জন দু’টি পুতুল
বিয়ে দেয় এক সাথে,
মটর সিরনী বিলিয়ে দেয়
সব অতিথির হাতে।
মসজিদ হতে মাগরিবের
আজান হওয়ার পর,
পুতুল খেলা সাঙ্গ করে
ফিরে দুজন ঘর।
মাটির পুতুল আদর করে
আলমিরাতে  রাখে,
ওযু করে পড়তে নামাজ
ওর নানী ডাকে।
নামাজ শেষে আম্মু বলে-
খুকুমণি পড়,
লেখা পড়া শিখে তুমি
হবে অনেক বড়।
বড় হয়ে দেশের তরে
করবে তুমি কাজ,
পৃথিবীতে গড়বে তুমি
সত্য-ন্যায়ের রাজ।
খুকুমণি পড়তে থাকে
কোরাআন শেখার কায়দা,
খুকুমণি বড় হবে
দেশের হবে ফায়দা।

সোমবার, ৪ মে, ২০২০

মা হারা ছেলে - ফথর উদ্দিন মোবারক শাহ

মা হারা ছেলে 

ফথর উদ্দিন মোবারক শাহ


মা হারা এক ছেলে বাবুল,
জামালপুরে বাড়ী,
কথা বলে মিষ্টি হেসে,
কাজে অনেক জুড়ি।
মনটা তার সহজ সরল,
কয়না মিছে কথা,
মায়ের কথা হলে মনে
পায় সে অনেক ব্যাথা।
মা জননী কত আপন
ছিল জগৎ মাঝে,
মায়ের স্মৃতি মনে হলে
মন বসেনা কাজে।
চুপটি মেরে বসে থাকে
মুখটি করে কালো,
সবাই একদিন যাবে চলে
কেমনে বুঝাই বলো।

জেগে উঠো -ফখর উদ্দিন মোবারক শাহ

জেগে উঠো

ফখর উদ্দিন মোবারক শাহ


ওরে খুকি খুলো আঁখি
আযান হল যে,
দাঁত মাজো করো ওজু
দাঁড়াও জয়নামাজে।

ডাকে পাখি জাগো খুকি
রাত পোহাবার নেইতো বাকি,
মেঝ মামা গাইছে ছামা
সুরুজ মামা দেবে উঁকি।

ভোর হল চোখ খোল
করোনা আর হেলা,
আলসে টুটো জেগে উঠো
বয়ে যায় বেলা।

রবিবার, ৩ মে, ২০২০

খোদার গুণগান -ফখর উদ্দিন মোবারক শাহ










খোদার গুণগান

ফখর উদ্দিন মোবারক শাহ


খোকন তুমি গোল করোনা,
লও খোদার নাম,
জগৎ জুড়ে পাবে তুমি
অনেক অনেক দাম।

কিচির মিচির ডাকে পাখি
গায় খোদার গান,
ফুল ফসলে ভরা জমিন
তাঁরই দয়ার দান।

কুহু কহু মিষ্টি সুরে
কোকিল করে গান।
গানের টানে মিশে আছে
মহান আল্লার শান।

চাঁদ -সুরুজ আর গ্রহতারা;
পাহাড়-পর্বত ঝর্ণাধারা;
গাছ-গাছালি,বৃষ্টির ধারা;
খোদার প্রেমে পাগলপারা।

সাগর তলার মুক্তা-মণি
জপে খোদার নাম,
দোয়েল পাখির মিষ্টি শীষে
তাঁরই গুণগান।

ভেবে দেখো খোকনসোনা
করছো তুমি কি ?
নামটি খোদার স্মরণ কর
পাবে অনেক নেকী।

শনিবার, ২ মে, ২০২০

পণ -ফখর উদ্দিন মোবারক শাহ

পণ

ফখর উদ্দিন মোবারক শাহ


নামাজ কালাম পড়বো মোরা
রাখবো তিরিশ রোজা,
মনের কালি যাবে ঝড়ে
ঘুচবে পাপের বোঝা।

রাতে উঠে  সেহরী খাবো
রোজার শেষে ইফতার,
লেখাপড়া করবো মোরা
ভরবো মনের ভাণ্ডার।

নবীর পথে গড়বো জীবন,
করবো মানব সেবা,
দু’চোখ জুড়ে উঠবে ফুটে
হেরার জ্যোতির আভা।

সত্য কথা বলবো সবে
মিথ্যা ঝেড়ে ফেলে,
ন্যায়ের পথে চলব মোরা
থাকবোনা আর ভূলে।

পড়বো হাদিস ,শিখবো কুরআন,
গড়বো সোনার জীবন,
বাজে পথে চলবোনা কেউ,
করো সবাই পণ।

খোকার মতন খোকা -ফখর উদ্দিন মোবারক শাহ

খোকার মতন খোকা

ফখর উদ্দিন মোবারক শাহ


তোমার খোকার হিম লেগেছে
জ্যাকেট দিলে কিনে,
শীতের দায়ে সর্দি হলো
পথ্য দিলে এনে।

একটু খানি কফ্ হলে তার
ঘুরে তোমার মাথা,
গরম কম্বল দাও বিছিয়ে
তার উপরে কাঁথা।

খোকার মতন ছোট্ট খোকা
দেখেছ মা ফুটপাতে?
ভীষণ শীতে কাঁপছে বসে
কপট লেগেছে দাঁতে।

নেইকো মাতা নেইকো পিতা
কেউ কি তারে চিনে,
থরথর করে কাঁপে মাগো
ফুটপাতের এক কোণে।

শীত লেগেছে কফ্ ধরেছে
কেমনে বলো সয়?
আদর করে কেউকি তারে
মধুর কথা কয়?

তোমার খোকার গরম কাপড়
আছে ভুরি ভুরি,
তারতো মাগো একটিও নেই
জড়াবে গাঁয়ে মুড়ি।

তার জন্য একটু যদি
দরদ লাগে মা,
তুমি তাকে দান করো 
খোকার  একটি জামা।

প্রাণটা তার যাবে ভরে
হাসবে  মধুর হাসি,
আঁধার ফুঁড়ে উঠবে শশী
বাজবে সুখের বাঁশী।


রোজা -শাহ লা-রাইবা মিতু


রোজা

শাহ লা-রাইবা মিতু


নামাজ পড়ব,কোরআন পড়ব,
রাখব প্রতি রোজা।
রোজার শেষে ইফতার বেলা
খেজুর খেতে মজা।

মাইকে ডাকেন মাওলানাগণ
যেন রাখি রোজা।
আল্লার তরে রাখি রোজা,
রোজাতো নয় বোঁঝা।

শীতের ভয়ে- ফখর উদ্দিন মোবারক শাহ

শীতের ভয়ে

ফখর উদ্দিন মোবারক শাহ


শৈত্যের ভয়ে দৈত্য পালায়
পথ্য পাবে কই?
হিম হিম লাগে ঝিম,
কাঁপে দশাসই।
পৌষের শেষে দৈত্য এসে
পড়লো কোন সে দহে ?
উদ মেখে সর্দি পাকে,
হিমেল বাতাস বহে।
অশ্রু ঝরে সর্দি করে ,
ফ্যাদ ফ্যাদ করে উঠে,
গজ দাঁতের খিচান দেখে
পাখি পালায় ছোটে।

আগুনের কুণ্ড- ফখর উদ্দিন মোবারক শাহ

আগুনের কুণ্ড

ফখর উদ্দিন মোবারক শাহ


ওধারে হৈ চৈ
ঘটলো কি কান্ড।
নদীর ওপাড়ে
আগুনের কুণ্ড।

ভট্ ভট্ দপ্ দপ্
আগুনের হাঁক,
জ্বলে বাড়ী-ঘর
লাগল তাক।

চৌদিকে ডাকাডাকি
হায় হায় রব।
আগুনের বাড়াবাড়ি
জ্বলে গেল সব।

আকাশ ছুঁই ছুঁই
লেলিহান শিখা,
দূরছাই,ভাষানাই,
যায়কি লিখা?

চাচাজান -ফখর উদ্দিন মোবারক শাহ


চাচাজান

ফখর উদ্দিন মোবারক শাহ


আমাদের চাচাজান
তুতা মিয়া মেম্বার,
সন্ধ্যায় খুলে দেন
বৈঠক চেম্বার।

লোকজন বসে তাতে
কত কথা বলে,
মাঝে মাঝে চা পান
খাওয়া খাওয়ি চলে।

বৈঠক শুরু হয়
মাগরিব বাদ,
শত শত কথা হয়
নেইকো বিবাদ।

আড্ডাটা জমে ওঠে
আটটার পর,
দেশ নিয়ে বলাবলি
মুখে উঠে ঝড়।

বিদ্যুৎ চলে যায়,
আড্ডাটা নষ্ট,
গল্পের বাহু বাকী,
মনে বড় কষ্ট।

আড্ডা থেমে যায়
দশটার পর,
লোকজন চলে যায়
নিজ নিজ ঘর।

খেতে ডাকেন আমাদের 
রাতের ডিনার,
নি:চুপ,নিঝঝুম 
নেই কেউ আর।


সাহসী বীরের গল্প-খোরশেদ আলম বাঁধন

 সাহসী বীরের গল্প

খোরশেদ আলম বাঁধন


আমি আছি সত্যের পথে
অন্যায়কে দেইনা প্রশ্রয়,
আমি চলি সাহস নিয়ে,
নিয়েছি খোদার আশ্রয়,
অন্যের দু:খে হই দুখী, 
অন্যের সুখে হই  সুখী, 
শয়তানকে আঘাত হেনে
হবোই সত্যমুখী।

বৃষ্টির দিনে - ফখর উদ্দিন মোবারক শাহ











বৃষ্টির দিনে 

 ফখর উদ্দিন মোবারক শাহ


দিনভর ঝরছে
টপটপ বৃষ্টি,
এ যে  নেয়ামত,
খোদার সৃষ্টি।

মাঠের শস্য,
কুমড়োর বাগান,
ফিরে পেল 
নতুন প্রাণ।

ভিজছে রাখাল,
ভিজছে গরু,
খোকা বসে
খাচ্ছে নাড়ু।

চাউল ভাজা,
ভাজা মটর,
খেতে মজা
লাগবে জবর।

ঝরছে বৃষ্টি
আউশ বনে,
থামছে বৃষ্টি
ক্ষণে ক্ষণে।

জোয়ার এল
বাউলা মনে,
মন লুকায়
সুরের টানে।

বৃষ্টি পরে- শাহ লা-রাইবা মিতু


বৃষ্টি পরে

শাহ লা-রাইবা মিতু


বৃষ্টি পরছে ঝমঝমিয়ে,
বইছে বাতাস শনশনিয়ে,
গাছপালা খাচ্ছে দোল,
ঝড়ে পরছে আমের বোল ,
বৃষ্টিতে ভিজে পাখির পাখা,
সূর্যটাকে যায়না দেখা।

বাংলা আমার প্রাণে গাঁথা- শাহ আলিফ লাম মীম

বাংলা আমার প্রাণে গাঁথা

শাহ আলিফ লাম মীম


বাংলা আমার মাতৃভাষা,
বাংলা রাষ্ট্রভাষা,
বাংলা আমার প্রাণের ভাষা,
বাংলায় কান্না-হাসা।
বাংলা আমার চিরসাথী,
বাংলা আমার ব্যাথার ব্যাথী
বাংলা আমার জান,
বাংলাতে গাই গান।
বাংলা আমার সুখ,
বাংলা আমার দুখ,
বাংলা আমার মায়ের কথা,
বাংলা আছে প্রাণে গাঁথা।

বৈশিষ্ট্যযুক্ত পোস্ট

শরতের আহবান -ফাতেমা রহমান

আয় আয় সখা- সখি কে কোথায় আছিস তোরা। শুভ্র কাশেরা কানে কানে বলে মনে আছে যত দ্বন্দ্ব, গ্লানি সব এবার কর সারা। শরৎ এসেছে,শুভ্র সতেজ ...