শুক্রবার, ১ মে, ২০২০

সোনামণি - ফখর উদ্দিন মোবারক শাহ

সত্য ও সুন্দরের পথে এসো হে নবীন, কিশোর
আমরা আমাদের জীবনে ফুটাব নতুন রাঙা ভোর।


সোনামণি 

ফখর উদ্দিন মোবারক শাহ

সোনামাণি কেঁদো নাকো হাসি খুশি থাকো,

প্রাণ খুলে গাও শান মনে  নাম  আঁকো।

গান গাও আল্লার যিনি দিলো প্রাণ,

আঁকো মনে তাঁর নাম  যার সেরা মান।

সেই নাম আঁকো মনে কুরআন পড়ে,

দুনিয়ার সবকিছু গায় যাঁর তরে।

সবই ছিল ফাঁকা ফাঁকা ছিলনাতো কিছু,

যাঁর মায়ায় সব আঁকা লও তাঁর পিছু।

তাঁরই ক্যানভাসে এসে হও সবে জড়ো,

তাঁর পথে চলো আর মন দিয়ে পড়ো।

তাঁরই পথে তাঁরই মতে গাও যদি গান,

ইহকালে-পরকালে পাবে সম্মান।

শিল্পীর সেরা তুমি অক্ষয় রবে,

মুমিন হয়ে তুমি জান্নাত পাবে।




বৈশাখ মাসে - ফখর উদ্দিন মোবারক শাহ

সত্য ও সুন্দরের পথে এসো হে নবীন, কিশোর
আমরা আমাদের জীবনে ফুটাব নতুন রাঙা ভোর।


বৈশাখ মাসে

ফখর উদ্দিন মোবারক শাহ

সকালে পূব গগনে জ্বল জ্বলে ওই সূর্য

আমার গায়ে আগুন ছড়ায়,গরমে হারাই ধৈর্য্য,

তপ্ত দেহের মনটা ছেড়ে শান্তি হল উধাও,

লোমের কূপে ঘাম জমে কয় - ধূলো ময়লা খেদাও।

টিকালো নাকে বিন্দু বিন্দু জমলো ঘামের কণা,

শুনেছি এই ঘাম মুছতে নাকি মানা।

নাক ঘামলে বউ নাকি খুবই যতন করে,

কাতলামাছের কল্লার ভাজি খাওয়ায় পেঠখান ভরে।

গরম হওয়া কোমল গায়ে তেজের আদর বোলায়,

ফ্রিজে রাখা ঠান্ডা কুক সেও কি আর কূলায়?

গরম গরম সব জিনিস গরম ফ্যানের বাতাস,

আমের বনে ছড়ায় বোলের উষ্ণ মাখা সুবাস।

বাতাস ভরা গাছের নিচে একটু খানি আরাম,

কৃষক মাঠে লাঙল চালায় নেই কোন তার বিরাম,

পেচকুন্দা চিকচিকিয়ে কি বকা যে বকে,

গরম মাথায় পাকধরে ভাই কালো কাকের ডাকে।

রাখালেরা সুর ধরে গায় রুপবানের গান,

ব্যাস্ত কৃষক ঘরে তোলে বৈশাখ মাসের ধান।

এত গরম তবু পাখি গান গায় আপন মনে,

কালবৈশাখী সাজ সাজে হঠাৎ ইশান কোণে,

প্রখর সূর্য হারিয়ে যায় কালো মেঘের বনে,

আধাঁর কালাে বৈশাখী ঝড় কাঁপন ধরায় মনে,

ঘরবাড়ী নেয় উড়িয়ে ভাঙ্গে গাছের ডাল,

নদীর বুকে জোয়ার উঠে জালিয়া ছড়ায় জাল।

হামদ - ফখর উদ্দিন মোবারক শাহ

সত্য ও সুন্দরের পথে এসো হে নবীন, কিশোর
 আমরা আমাদের জীবনে ফুটাব নতুন রাঙা ভোর।
হামদ 
 ফখর উদ্দিন মোবারক শাহ

আল্লাহ তুমি এতই মহান
তুমার দয়ার হয়না ফুরান,
বাচাঁও তুমি তামাম জাহান,
দূর করে সব কষ্ট নিদান।।
তুমি খালিক তুমি মালিক
পথহারাদের দেখাও দিক,
বেইজ্জতিরে ইজ্জত দাও,
রাখো তাহার মান।।
নৌকামাঝি দিশাভূলে
তোমার দয়ায় ভিড়ে কূলে,
সুরি ধরিয়া মাঝিরা তাই
গায় তোমারি শান।।

সুজুতা পরে - ফখর উদ্দিন মোবারক শাহ

সুজুতা পরে                                       
ফখর উদ্দিন মোবারক শাহ
সুজুতা পায়ে পরে
এলো ফুফু বাড়ী,
কিছু পথ হেটেঁ হেটেঁ
কিছু পথে গাড়ী।
সু পরে হেটেঁ আসায়
পা গেল ফুলে,
ব্যাথা ব্যাথা লাগে খুব
হৃদয়টা জ্বলে ।
তেল আর নুন দিয়ে
ম্যাসেজ করে পা,
এই করুণ দশা দেখে
কাদেঁ তার আপা।

তোমার রহমত চাই - ফখর উদ্দিন মোবারক শাহ

সত্য ও সুন্দরের পথে এসো হে নবীন, কিশোর
 আমরা আমাদের জীবনে ফুটাব নতুন রাঙা ভোর।

               তোমার রহমত চাই

           ফখর উদ্দিন মোবারক শাহ 

আপদমস্তক তোমাতে অর্পণ করে,

হৃদয় নিংড়ানো শব্দের সমাহারে,

যুগ যুগ অনন্তকাল যদি স্মরি,

তোমার রহমত ছাড়া কিভাবে দিব পাড়ি? 

ইবলিস নবলুস খবীসের ছাবাল,

তোমার ইবাদত করেছিল কত শতাব্দীকাল,

তোমার রহমত পায়নি বলে সে দোযখ -ইন্দন।

তোমার করুণাহীনতায় রচিব কি দিয়ে বন্দন?

অধম কুদরতি কদমে তোমার ভিক্ষা যাচি,

তুমি সন্তোষ হও এমন হলে যেন বাঁচি,

অজানা শংকায় কম্পিত হয় বুক, 

অন্তর-চোখে ভেসে উঠে লেলিহান দোযখ।

ওগো দয়াময় ! আত্মায় ঢালো তব রহমত ভারি 

চোখের পর্দায় ভাসবে হুরদের ফুলঝুরি।

খোকন পেল ব্যাথা- ফখর উদ্দিন মোবারক শাহ

সত্য ও সুন্দরের পথে এসো হে নবীন, কিশোর, আমরা আমাদের জীবনে ফুটাব নতুন রাঙা ভোর।


                     খোকন পেল ব্যাথা

              ফখর উদ্দিন মোবারক শাহ


তিড়িং বিড়িং করে ফড়িং

নাচছে গোলাপ বাগে,

তাইনা দেখে খোকন সোনার

ভারি মজা লাগে।

 খোকন ডাকে - আয়রে ফড়িং

আয়রে আমার ঘরে,

রসমলাই দিবো তোকে

সোনার থালা ভরে ।

চাস যদি তুই আরো দিব

তালের তৈরী পিঠা,

খেজুর রসের পায়েস দিব 

লাগবে ভারি মিঠা ।

বুঝবে কভু বনের ফড়িং

খোকন সোনার কথা ?

উড়ে গেল হঠাৎ ফড়িং
       
খোকন পেল ব্যাথা ।

বৈশিষ্ট্যযুক্ত পোস্ট

শরতের আহবান -ফাতেমা রহমান

আয় আয় সখা- সখি কে কোথায় আছিস তোরা। শুভ্র কাশেরা কানে কানে বলে মনে আছে যত দ্বন্দ্ব, গ্লানি সব এবার কর সারা। শরৎ এসেছে,শুভ্র সতেজ ...