মঙ্গলবার, ১২ মে, ২০২০

মায়ের শূণ্যতা - ফখর উদ্দিন মোবারক শাহ

 মায়ের শূণ্যতা

ফখর উদ্দিন মোবারক শাহ


মা জননী নেই বাবুলের এই দুনিয়ার মাঝে,
বাবুল,বাবুল ডাকবে কে আর সকাল-সন্ধ্যা-সাঁঝে।
রাত পোহালে মা জননী তুলতো তারে ডেকে,
শিয়রে বসে হাত বুলাত স্নেহের পরশ এঁকে।
ঘুম থেকে উঠে বাবুল দেখত মাকে পাশে,
মায়ের মুখে চাদেঁর হাসি ঝলমলিয়ে ভাসে।
দুধের সর দিত মা চুপিচুপি তারে ডেকে,
চম্ চম্ ভাজা কিনে দিতো ফেরিওয়ালা থেকে।
বলতো বাবুল ,বড় হয়ে মা দিব কিনে শাড়ী,
তোমায় নিয়ে ঢাকা যাব, চড়ব চাকার গাড়ী।
বাবুল এখন বড় মহাজন ঢাকায় বাড়ী গাড়ী,
মা আজ নেই দুনিয়ায় গেলেন সবই ছাড়ি।
থাকলে মা হতেন খুশি পরাণ যেত ভরে,
বুঝবে সে জন বুকের বেদন মা নেই যার ঘরে।

খোকার ইচ্ছা -ফখর উদ্দিন মোবারক শাহ

খোকার ইচ্ছা

ফখর উদ্দিন মোবারক শাহ


নানী বাড়ী যাবে খোকা পালতোলা নায় চড়ে,
সেথায় গিয়ে মিশে যাবে ফুল-পাখিদের ভীড়ে।
পাখির মত পালক-ডানা থাকত যদি তার,
ফুড়ুৎ করে উড়ে গিয়ে হতো নদী পার।
এ বন হতে ও বন যেতো পাখায় করে ভর,
দেখত উড়ে শালিক পাখি কেমনে বাধে ঘর।
হতো যদি প্রজাপতি ঘুরতো ঘাসের বনে,
হাতেম তাঈর কেচ্ছা বলতো ফুলের কানে কানে।
আবার ভাবে হতো যদি নিজেই গোলাপ ফুল,
সুবাস দিয়ে ভোমারাদের করত সে আকুল।
নিজের গায়ে বসতে দিতো সতেজ দলের পিড়ি,
দেখতো কেমনে মক্ষিকারা মধু করে চুরি।
হতো যদি ডলফিন সে কিংবা তিমি মাছ,
দেখতো চেয়ে হাঙর - চাঁদা কেমনে খেলে নাচ।
ফুলপাখিদের ভাল্লাগে তার মন চায় করতে দোস্তি 
ভাল্লাগেনা কারো সনে করতে তার কুস্তি

বুলবুলি- ফখর উদ্দিন মোবারক শাহ






বুলবুলি

ফখর উদ্দিন মোবারক শাহ

বুলবুলি কেওয়ার ঝোঁপে বেধেছে একটি ঘর,
একটুখানি বায়ুর ঝাঁপটায় হয় তা নড়বড়,
তাতেই একদিন স্ত্রী বুলবুলি পারলো চারিডিম,
বাসাখানি অদূর হতে দেখায় টিম টিম।
স্ত্রী বুলবুলি তা’ দেয় তাতে পুং বুলবুলি উড়ে,
ছোট ফড়িং পোকামাকড় ঝাঁপ মেরে ধরে।
আহার এনে দেয় সে স্ত্রী বুলবুলির মুখে,
পরম মমতায় নিজ ডিমগুলো আগলালো যে বুকে।
প্রাত: কালে ঝোঁপের অদূরে বসি আমি রোজরোজ,
আমার দু’চোখ এক পলকে নেয় ওদের খোঁজ।
ওদের দেখে ভাল লাগে মনটা পিয়ে সুখ,
সুযোগ পেলে ওদের দেখে জুড়াই আমার চোখ।
গরমের ছুটি শেষ তাই ফিরলাম আমার স্কুলে,
স্কুল হোষ্টেলে ঘুমে দেখি বুলবুলির ঝোঁপ দোলে
মনটা আমার আনচান করে ফিরে যেতে বাড়ী,
এই বুলবুলিরা আসার কালে হৃদয় রাখলো কাড়ি।
বান এলো তাই বন্ধ স্কুল চলে এলাম বাড়ী,
গিয়ে দেখি মাঠের বুকে স্রোতের গড়াগড়ি,
ডোবার পাড়ে কেওয়ার ঝোঁপ জলের নিচে চাপা,
বুলবুলিদের কথা ভেবে মনটা লাগলো কাঁপা।
অজান্তে মোর আঁখিদ্বয় কান্না করলো শুরু,
কোথায় গেল বুলবুলিরা বলতে কি কেউ পারো?
বাড়ী থেকে খোঁজলাম আমার স্বপ্নের দু’টো পাখি,
খোঁজ পেলামনা ফিরে এলাম আজো কাঁদে আঁখি।

বৈশিষ্ট্যযুক্ত পোস্ট

শরতের আহবান -ফাতেমা রহমান

আয় আয় সখা- সখি কে কোথায় আছিস তোরা। শুভ্র কাশেরা কানে কানে বলে মনে আছে যত দ্বন্দ্ব, গ্লানি সব এবার কর সারা। শরৎ এসেছে,শুভ্র সতেজ ...