শুক্রবার, ৮ মে, ২০২০

আল্লাহ সবার মালিক - ফখর উদ্দিন মোবারক শাহ

আল্লাহ সবার মালিক 

ফখর উদ্দিন মোবারক শাহ


আল্লাহ মোদের  সবার মালিক  
আমরা গোলাম বান্দা,
তিনি দেন সবার রিযিক
বেশি কিংবা মান্দা।

ইজ্জত দেন তিনি
আবার কেড়েও নেন তিনি,
তাঁর ইশারায় ধনে ধনী
তাঁর ইশারায় ঋণী।

যাকে ইচ্ছা সম্পদ দেন,
দেন বিদ্যা বুদ্ধি,
বিপদ দিয়ে অভাব দিয়ে
করান আত্মশুদ্ধি।

হায়াত মওতের মালিক তিনি
তাঁর হকুমেই সব,
তিনিইতো মালিক সবার
তিনিই মোদের রব।

ছাগল ছানা - ফখর উদ্দিন মোবারক শাহ

ছাগল ছানা 

ফখর উদ্দিন মোবারক শাহ


ছাগল ছানা এপাশ ওপাশ
ইচ্ছেমতো লাফায়,
কভু এদিক কভু ওদিক
মাথা নেড়ে দাফায়।

একটু দূরে সখিনাদের
ছিলো মাটির চূলা,
সেই চূলাতে আগুন ছিলো
মুখ ছিলো তার খোলা।

হঠাৎ দৌড়ে তাধিন তাধিন
পড়লো ‍চূলায় ছানা,
চূলার ছালি চোখে লাগায়
ছাগল ছানা কানা।

পা দুটি ততক্ষণে
অনেক পুড়ে গেছে,
পানি ঢাললো ওর ওপরে
যারা ছিলো কাছে।

অবোধ ছানার হলো জানা
আগুন কত কড়া,
তাধিন তাধিন নাচ যে এখন
হলো তার সারা।

যেখানেই যায় ছাগল ছানা
চুপটি মেরে থাকে,
পা দুটি মুড়িয়ে সদা
ভ্যাঁ ভ্যাঁ করে ডাকে।

বৃহস্পতিবার, ৭ মে, ২০২০

গরম -ফখর উদ্দিন মোবারক শাহ

গরম

ফখর উদ্দিন মোবারক শাহ


গরম লাগে  সবখানে,
গরম ফ্যানের বাতাস,
এত গরমে ধৈর্য্য হারাই
করি হায়  ‍হুতাশ।
জৈষ্ঠমাসের ওই সূর্যটা
এত গরম ঢালে,
ঘামের জোয়ার বয় গরমে
শরীর গলে গলে।
ঠান্ডা কুক পানটা আন,
আন ফ্রিজের পানি,
তবু মন হয়না ঠান্ডা,
বরফ দাও আনি।
বরফ সেও মানলো হার,
জৈষ্ঠের গরম দিনে,
সূর্যকে কই, তেজ কমাও
দেব আলতা  কিনে।

কালবৈশাখী - ফখর উদ্দিন মোবারক শাহ

কালবৈশাখী 

ফখর উদ্দিন মোবারক শাহ


পাড়া -গাঁয়ে মাঝরাতিতে হানলো আঘাত ঝড়,
গাছ-পালা উপড়ে দিলো গুড়িয়ে দিলো ঘর।
ঘুম চোখে নেই ছলিম করিম কোথায় থাকবে রাতে,
ঘর বানাবে এমন টাকা নেইতো তাদের হাতে।
ধার চেয়ে পায়নি টাকা শেষে কী আর  করে,
হালের বলদ বিক্রি করলো অতি সস্তা দরে।
গরুর টাকায় ঘর বানালো বন্ধ এখন চাষ
কালবৈশাখী ঝড় এসে সব করলো সর্বনাশ।

গাঁয়ের পাখি - ফখর উদ্দিন মোবারক শাহ

গাঁয়ের পাখি
ফখর উদ্দিন মোবারক শাহ


দোয়েল,কোয়েল,শালিক পাখির কূজন শুনবি আয়
শহর ছেড়ে নীরব নিথর কাঁচা পথের গাঁয়।
পথের ধারে ঝোঁপের ঝাঁড়ে বুলবুলিরা উড়ে,
বকের সারি তেপান্তরে লোকায় মেঘের ক্রোড়ে।
বাবুই পাখি বাসা বাঁধে নারকেলের শাঁখে,
আয় ছুটে আয় আমার গাঁয়ের সোনাই নদীর বাঁকে।
টুনটুনিরা আপন মনে যখন তখন উড়ে,
বুলকি মারে হুতোম পেঁচা শিশির ভেজা ভোরে।
মাছরাঙা ধ্যান করে রয় পাকুর পাড়ের ঝোঁপে,
ভাসা মাছের দম কেড়ে নেয় ভীষণ মারণ চোপে,
এযে ঘুঘু পাখি,চুড়ুই পাখি কানা বগীর গাঁ,
কাঠ ঠুকরা শক্ত দাতেঁ গাছে মারে ঘা।
নাইরুলী দিঘীর ঘাটে টুপ টুপ দেয় ডুব,
চোখ জুড়ায় দেখিস যদি টিয়ে পাখির রুপ।
গায়ের মাঠে ক্ষেতের আলে ডাহুক করে খেলা,
হলদে পাখির করুণ সুরে মনে বাড়ে জ্বালা।
সবুজ রাঙা টিয়ে পাখির কচিৎ মিলে দেখা,
বসন্তে কোকিল ডাকে আপন মনে একা।

বুধবার, ৬ মে, ২০২০

মোরা তিন ভাই-ফখর উদ্দিন মোবারক শাহ

এক ঘরে শুই মোরা
তিনজন লোক,
একজন অন্যকে
বলি সুখ-দুখ।
তিন দেশের তিনজন,
মনে মনে ভাব,
প্রাণ খুলে হাসাহাসি,
করি তিন সাব।
স্কুলে পড়াই একজন,
আরেকজন সুপার,
বাড়ি করে দেখাশোনা
বাবুল সরকার।
মোরা হই ভাই ভাই,
যেন সহোদর,
এই বাধঁন থাকবেই
সারা জনম ভর।
তিন ভাই গান গাই
করি হাসাহাসি,
একজন অন্যকে
খুব ভালোবাসি।

কূপি - ফখর উদ্দিন মোবারক শাহ

কূপি 

ফখর উদ্দিন মোবারক শাহ


কূপি জ্বলে মিটি মিটি
শেষ হল তেল,
সলতের প্রাণ যাবে
বাজে শেষ বেল।

শিখা ওর নিবু নিবু
যায় বুঝি প্রাণ
শিখা হতে ভেসে এল
বিচ্ছিরি ঘ্রাণ।

চেপে ধর নাকটা
কি যে এক গন্ধ,
আলো দেয় কত বেলা,
শেষকালে মন্দ।

কেরোসিন খেতে দাও,
সলতের হবে বল,
বিদ্যুৎ ছুটি নিল,
কূপিটাই সম্বল।

বৈশিষ্ট্যযুক্ত পোস্ট

শরতের আহবান -ফাতেমা রহমান

আয় আয় সখা- সখি কে কোথায় আছিস তোরা। শুভ্র কাশেরা কানে কানে বলে মনে আছে যত দ্বন্দ্ব, গ্লানি সব এবার কর সারা। শরৎ এসেছে,শুভ্র সতেজ ...