শনিবার, ২ মে, ২০২০

পণ -ফখর উদ্দিন মোবারক শাহ

পণ

ফখর উদ্দিন মোবারক শাহ


নামাজ কালাম পড়বো মোরা
রাখবো তিরিশ রোজা,
মনের কালি যাবে ঝড়ে
ঘুচবে পাপের বোঝা।

রাতে উঠে  সেহরী খাবো
রোজার শেষে ইফতার,
লেখাপড়া করবো মোরা
ভরবো মনের ভাণ্ডার।

নবীর পথে গড়বো জীবন,
করবো মানব সেবা,
দু’চোখ জুড়ে উঠবে ফুটে
হেরার জ্যোতির আভা।

সত্য কথা বলবো সবে
মিথ্যা ঝেড়ে ফেলে,
ন্যায়ের পথে চলব মোরা
থাকবোনা আর ভূলে।

পড়বো হাদিস ,শিখবো কুরআন,
গড়বো সোনার জীবন,
বাজে পথে চলবোনা কেউ,
করো সবাই পণ।

খোকার মতন খোকা -ফখর উদ্দিন মোবারক শাহ

খোকার মতন খোকা

ফখর উদ্দিন মোবারক শাহ


তোমার খোকার হিম লেগেছে
জ্যাকেট দিলে কিনে,
শীতের দায়ে সর্দি হলো
পথ্য দিলে এনে।

একটু খানি কফ্ হলে তার
ঘুরে তোমার মাথা,
গরম কম্বল দাও বিছিয়ে
তার উপরে কাঁথা।

খোকার মতন ছোট্ট খোকা
দেখেছ মা ফুটপাতে?
ভীষণ শীতে কাঁপছে বসে
কপট লেগেছে দাঁতে।

নেইকো মাতা নেইকো পিতা
কেউ কি তারে চিনে,
থরথর করে কাঁপে মাগো
ফুটপাতের এক কোণে।

শীত লেগেছে কফ্ ধরেছে
কেমনে বলো সয়?
আদর করে কেউকি তারে
মধুর কথা কয়?

তোমার খোকার গরম কাপড়
আছে ভুরি ভুরি,
তারতো মাগো একটিও নেই
জড়াবে গাঁয়ে মুড়ি।

তার জন্য একটু যদি
দরদ লাগে মা,
তুমি তাকে দান করো 
খোকার  একটি জামা।

প্রাণটা তার যাবে ভরে
হাসবে  মধুর হাসি,
আঁধার ফুঁড়ে উঠবে শশী
বাজবে সুখের বাঁশী।


রোজা -শাহ লা-রাইবা মিতু


রোজা

শাহ লা-রাইবা মিতু


নামাজ পড়ব,কোরআন পড়ব,
রাখব প্রতি রোজা।
রোজার শেষে ইফতার বেলা
খেজুর খেতে মজা।

মাইকে ডাকেন মাওলানাগণ
যেন রাখি রোজা।
আল্লার তরে রাখি রোজা,
রোজাতো নয় বোঁঝা।

শীতের ভয়ে- ফখর উদ্দিন মোবারক শাহ

শীতের ভয়ে

ফখর উদ্দিন মোবারক শাহ


শৈত্যের ভয়ে দৈত্য পালায়
পথ্য পাবে কই?
হিম হিম লাগে ঝিম,
কাঁপে দশাসই।
পৌষের শেষে দৈত্য এসে
পড়লো কোন সে দহে ?
উদ মেখে সর্দি পাকে,
হিমেল বাতাস বহে।
অশ্রু ঝরে সর্দি করে ,
ফ্যাদ ফ্যাদ করে উঠে,
গজ দাঁতের খিচান দেখে
পাখি পালায় ছোটে।

আগুনের কুণ্ড- ফখর উদ্দিন মোবারক শাহ

আগুনের কুণ্ড

ফখর উদ্দিন মোবারক শাহ


ওধারে হৈ চৈ
ঘটলো কি কান্ড।
নদীর ওপাড়ে
আগুনের কুণ্ড।

ভট্ ভট্ দপ্ দপ্
আগুনের হাঁক,
জ্বলে বাড়ী-ঘর
লাগল তাক।

চৌদিকে ডাকাডাকি
হায় হায় রব।
আগুনের বাড়াবাড়ি
জ্বলে গেল সব।

আকাশ ছুঁই ছুঁই
লেলিহান শিখা,
দূরছাই,ভাষানাই,
যায়কি লিখা?

চাচাজান -ফখর উদ্দিন মোবারক শাহ


চাচাজান

ফখর উদ্দিন মোবারক শাহ


আমাদের চাচাজান
তুতা মিয়া মেম্বার,
সন্ধ্যায় খুলে দেন
বৈঠক চেম্বার।

লোকজন বসে তাতে
কত কথা বলে,
মাঝে মাঝে চা পান
খাওয়া খাওয়ি চলে।

বৈঠক শুরু হয়
মাগরিব বাদ,
শত শত কথা হয়
নেইকো বিবাদ।

আড্ডাটা জমে ওঠে
আটটার পর,
দেশ নিয়ে বলাবলি
মুখে উঠে ঝড়।

বিদ্যুৎ চলে যায়,
আড্ডাটা নষ্ট,
গল্পের বাহু বাকী,
মনে বড় কষ্ট।

আড্ডা থেমে যায়
দশটার পর,
লোকজন চলে যায়
নিজ নিজ ঘর।

খেতে ডাকেন আমাদের 
রাতের ডিনার,
নি:চুপ,নিঝঝুম 
নেই কেউ আর।


সাহসী বীরের গল্প-খোরশেদ আলম বাঁধন

 সাহসী বীরের গল্প

খোরশেদ আলম বাঁধন


আমি আছি সত্যের পথে
অন্যায়কে দেইনা প্রশ্রয়,
আমি চলি সাহস নিয়ে,
নিয়েছি খোদার আশ্রয়,
অন্যের দু:খে হই দুখী, 
অন্যের সুখে হই  সুখী, 
শয়তানকে আঘাত হেনে
হবোই সত্যমুখী।

বৈশিষ্ট্যযুক্ত পোস্ট

শরতের আহবান -ফাতেমা রহমান

আয় আয় সখা- সখি কে কোথায় আছিস তোরা। শুভ্র কাশেরা কানে কানে বলে মনে আছে যত দ্বন্দ্ব, গ্লানি সব এবার কর সারা। শরৎ এসেছে,শুভ্র সতেজ ...