সোমবার, ১১ মে, ২০২০

মাছ ধরা - ফখর উদ্দিন মোবারক শাহ

মাছ ধরা 

ফখর উদ্দিন মোবারক শাহ


দু’দিনের একটানা বৃষ্টিতে জোয়ার উঠেছে মাঠে,
আজ কেন জানি বসেনা মন সকালের পাঠে।
যেদিকে তাকাই পানি আর পানি যেন নূহের প্লাবন,
এমন দিনে বেরুতে বাইরে আছে মায়ের বারণ।
চেয়ে দেখি খালের মুখে জলের গড়াগড়ি,
মহা আনন্দে চলছে সেথায় মাছ ধরাধরি।
বড় কোন মাছ পেলে সবাই হৈ চৈ করে,
মন কি  আর ঘরে রাখা যায়  আজ ধরে?
আমিও জাল নিয়ে গেলাম সেথা ছুটে,
মাছ ধরার মজাটা নিলাম খুব লুটে।
ফিরে এসে মাছগুলো মাকে দিতে গেলাম,
মায়ের  বকা আচ্ছা করে  আজ আমি খেলাম।

বৃষ্টির দিনে - ফখর উদ্দিন মোবারক শাহ

বৃষ্টির দিনে 

ফখর উদ্দিন মোবারক শাহ


বাদলের ধারা অবিরাম ঝরে,
কাজের লোকেরা বন্দী ঘরে।
রাখাল গায় গান মেঠু সুরে
শিশু চুপচুপ মায়ের ক্রোড়ে।
কেউ খেলে দাবা কেউ খেলে লুডু,
খোকা টঙ্গিতে ঘুরায় লাড্ডু।
তসবি জপে তমার দাদী
ছাগল রেখেছে কে বারান্দায় বাধি।
অপু পড়ে গল্প বিছানায় শুয়ে,
খুকী গুণা শিখে চার দুয়ে দুয়ে।

রিমঝিম বৃষ্টি- ফখর উদ্দিন মোবারক শাহ



রিমঝিম বৃষ্টি 

ফখর উদ্দিন মোবারক শাহ


রিমঝিম সুরে ঝরছে বৃষ্টি, 
মন আজ পেয়েছে দারুণ তুষ্টি,
ঘুমঘুম দু’চোখে বৃষ্টির ছন্দে,
আকাশ দাঁড়িয়েছে কালো মেঘ পিন্দে।
বিজলী যেন তার অঙ্গের গয়না,
ঝলকে কাঁপে মোর পোষা ময়না।
মেঘের হুঙ্কারে জাগে মনে শঙ্কা,
যেন বাজে আসমানে যুদ্ধের ডঙ্কা,
আসমানে তাড়া করে বজ্র শেল
ভয়ে কাঁপে বিছানায় আমার দেল।

বৃষ্টি পরে- ফখর উদ্দিন মোবারক শাহ

বৃষ্টি পরে

ফখর উদ্দিন মোবারক শাহ


সূর্যটা ডুবে গেলো,
এলো নেমে সন্ধ্যা।
সাজঁ পাখি ডাকে নাকো,
প্রকৃতি মন্দা।
দিনভর ঝরঝর
বৃষ্টি ঝরছে
সন্ধ্যায় আগকালে
বৃষ্টি থেমেছে।
সন্ধ্যা কেটে গেল,
শুরু হলো রাত্রি,
মেঘমালা আকাশের
ভাসমান যাত্রী।
কাল মেঘ আকাশে
উড়ে উড়ে ভাসছে,
চাঁদটা তার ফাঁকে
মাঝে মাঝে হাসছে।
ক্রমে ক্রমে ভাসা মেঘ
গেল কোথা হারিয়ে,
চাঁদ তার জোসনা
দিল রাতে ছড়িয়ে।

বৃষ্টি এল- ফখর উদ্দিন মোবারক শাহ

বৃষ্টি  এল

ফখর উদ্দিন মোবারক শাহ


বৃষ্টি  এল দিনদুপুরে,

কালমেঘে চড়ে,


খুকীর পায়ের নুপুর ছন্দে


ঝরঝরিয়ে ঝরে।


সূর্য করে মেঘের সাথে


লুকুচুরি খেলা,,খোকা-খুকু খেলা করে


ভাসায় নদে ভেলা।


মায়ের নিষেধ হেলা করে


বৃষ্টিতে আজ ভিজে


,কাদা মেঘে খোকা-খুকি


ভূতের মত সাজে।


ভায়ের শাসন ,মায়ের বারণ


সকল বাধা টুটে,

ঘুরে বেড়ায় বৃষ্টির দিনে


আউশ ধানের মাঠে।

ধান ক্ষেতের ফড়িং ধরে
ঢুকায় শিশির ভিতর,
প্রাণ হারিয়ে সবুজ ফড়িং
হয়ে যায় নিথর।
ফড়িং গুলো তুলে দেয়
শালিক পাখির মুখে,
বন্দী শালিক আহার করে
তৃপ্তি ভরা সুখে।

রবিবার, ১০ মে, ২০২০

নালিশ -ফখর উদ্দিন মোবারক শাহ

নালিশ

ফখর উদ্দিন মোবারক শাহ

মা মরার ক’দিন পরে খোকা গেল ঘুম,
দু’চোখ মুদে রাত দুপুরে লাগলো ঘুমের ধুম।
স্বপ্নে দেখল অচিন লোকে ডাকছে তারে মা,
গায়ে তার পরা ছিল সাদা রংঙের জামা।
বলল মা তারে ডেকে, আয়রে খোকা বুকে,
দুধ মাখা ভাত তুলে আজি দেব তোর মুখে।
মাকে পেয়ে ছোট্ট খোকা হল কত খুশী,
আঁধার রাতের তিমির ভেঙ্গেঁ উঠলো ফুটে শশী।
মায়ের কাছে করল নালিশ বাপ যে তারে মারে,
বিয়ে করে এনেছে এক নতুন বধূ ঘরে।
সে তাকে দেয় না খেতে মারে তারে লাথি,
বই নিয়ে পড়তে বসলে নিবায় ঘরের বাতি।
বাবা তাকে আর ডাকেনা আদর মাখা সুরে,
গরু নিয়ে মাঠের পাশে যায় সে উঠে ভোরে।
রোদের চড়ে দাগ পড়ে তনু গেল পুড়ে
আদর-সোহাগ করে তারে কেউ নেয়না ক্রোড়ে।
ডিম বেচার টাকায় মা জামা দিছিল কিনে,
তাতে কত তিল পড়েছে ছিরেছে খানে খানে।
বাবার কাছে চাইলে জামা ধমক দিয়ে বলে,
আমি টাকার গাছ লাগাইনি ছাড়ব টাকা জলে।
কাল গাইয়ের দুধ কি আর কপালে তার জোটে?
তালের তৈরী পিঠার স্বাদ পায়না তার ঠোঁটে।
জড়িয়ে ধরে মাকে খোকা ,মাগো চল ঘর,
তুমি ছাড়া এ ভুবনে সবই আমার পর।
মা কেঁদে কয়-থেকে যা আমার খাঁ খাঁ বুকে,
ঘুম যে খোকার ভেঙে গেল কাকের কা কা ডাকে।
চোখ খুলে দেখল খোকা বালিশ গেছে ভিজে
মা জননী নেই যে তার,আর কি পাবে খোজে।

শনিবার, ৯ মে, ২০২০

মায়ের প্রতি ভালবাসা- ফখর উদ্দিন মোবারক শাহ

মায়ের প্রতি ভালবাসা

ফখর উদ্দিন মোবারক শাহ

একটি ছেলে ওর মাকে অনেক ভালোবাসে,
মায়ের সুখে মায়ের দুখে দাঁড়ায় মায়ের পাশে।
মা যখন ঘর ঝাড়তে হাতে নেয় শলার ঝাড়ু,
ছেলেটা কয়,আমি দেই ঝাড়,মা ঝাড়ু ছাড়ো।
মা যায় ধোতে হাঁড়ি-পাতিল,গ্লাস,চামচ,থালা,
ছেলে বলে, আমি ধোই জড়িয়ে মার গলা।
মা যায় টয়লেটে হারপিক দিতে স্নান করার আগে,
ছেলে বলে,করছি সাফ,তুমি তুলো ফুল বাগে।
মাছ কুটিতে বসলে মা,ছেলেটি দৌঁড়ে আসে,
এটাতো বাবা পারবিনা,মা বলে আর হাসে।
ছেলে বলে,মা,পারতে হবে তোমার যে কষ্ট হয়!
মা বলে, এতসব কাজতো ছেলেদের বেলায় নয়।
ছেলে বলে,সবই করতে পারি তোমার সুখের তরে,
আওয়াজ হল,তুমি আমার প্রিয়,চিনেছ আমারে?

বৈশিষ্ট্যযুক্ত পোস্ট

শরতের আহবান -ফাতেমা রহমান

আয় আয় সখা- সখি কে কোথায় আছিস তোরা। শুভ্র কাশেরা কানে কানে বলে মনে আছে যত দ্বন্দ্ব, গ্লানি সব এবার কর সারা। শরৎ এসেছে,শুভ্র সতেজ ...