রবিবার, ১০ মে, ২০২০

নালিশ -ফখর উদ্দিন মোবারক শাহ

নালিশ

ফখর উদ্দিন মোবারক শাহ

মা মরার ক’দিন পরে খোকা গেল ঘুম,
দু’চোখ মুদে রাত দুপুরে লাগলো ঘুমের ধুম।
স্বপ্নে দেখল অচিন লোকে ডাকছে তারে মা,
গায়ে তার পরা ছিল সাদা রংঙের জামা।
বলল মা তারে ডেকে, আয়রে খোকা বুকে,
দুধ মাখা ভাত তুলে আজি দেব তোর মুখে।
মাকে পেয়ে ছোট্ট খোকা হল কত খুশী,
আঁধার রাতের তিমির ভেঙ্গেঁ উঠলো ফুটে শশী।
মায়ের কাছে করল নালিশ বাপ যে তারে মারে,
বিয়ে করে এনেছে এক নতুন বধূ ঘরে।
সে তাকে দেয় না খেতে মারে তারে লাথি,
বই নিয়ে পড়তে বসলে নিবায় ঘরের বাতি।
বাবা তাকে আর ডাকেনা আদর মাখা সুরে,
গরু নিয়ে মাঠের পাশে যায় সে উঠে ভোরে।
রোদের চড়ে দাগ পড়ে তনু গেল পুড়ে
আদর-সোহাগ করে তারে কেউ নেয়না ক্রোড়ে।
ডিম বেচার টাকায় মা জামা দিছিল কিনে,
তাতে কত তিল পড়েছে ছিরেছে খানে খানে।
বাবার কাছে চাইলে জামা ধমক দিয়ে বলে,
আমি টাকার গাছ লাগাইনি ছাড়ব টাকা জলে।
কাল গাইয়ের দুধ কি আর কপালে তার জোটে?
তালের তৈরী পিঠার স্বাদ পায়না তার ঠোঁটে।
জড়িয়ে ধরে মাকে খোকা ,মাগো চল ঘর,
তুমি ছাড়া এ ভুবনে সবই আমার পর।
মা কেঁদে কয়-থেকে যা আমার খাঁ খাঁ বুকে,
ঘুম যে খোকার ভেঙে গেল কাকের কা কা ডাকে।
চোখ খুলে দেখল খোকা বালিশ গেছে ভিজে
মা জননী নেই যে তার,আর কি পাবে খোজে।

শনিবার, ৯ মে, ২০২০

মায়ের প্রতি ভালবাসা- ফখর উদ্দিন মোবারক শাহ

মায়ের প্রতি ভালবাসা

ফখর উদ্দিন মোবারক শাহ

একটি ছেলে ওর মাকে অনেক ভালোবাসে,
মায়ের সুখে মায়ের দুখে দাঁড়ায় মায়ের পাশে।
মা যখন ঘর ঝাড়তে হাতে নেয় শলার ঝাড়ু,
ছেলেটা কয়,আমি দেই ঝাড়,মা ঝাড়ু ছাড়ো।
মা যায় ধোতে হাঁড়ি-পাতিল,গ্লাস,চামচ,থালা,
ছেলে বলে, আমি ধোই জড়িয়ে মার গলা।
মা যায় টয়লেটে হারপিক দিতে স্নান করার আগে,
ছেলে বলে,করছি সাফ,তুমি তুলো ফুল বাগে।
মাছ কুটিতে বসলে মা,ছেলেটি দৌঁড়ে আসে,
এটাতো বাবা পারবিনা,মা বলে আর হাসে।
ছেলে বলে,মা,পারতে হবে তোমার যে কষ্ট হয়!
মা বলে, এতসব কাজতো ছেলেদের বেলায় নয়।
ছেলে বলে,সবই করতে পারি তোমার সুখের তরে,
আওয়াজ হল,তুমি আমার প্রিয়,চিনেছ আমারে?

শুক্রবার, ৮ মে, ২০২০

আল্লাহ সবার মালিক - ফখর উদ্দিন মোবারক শাহ

আল্লাহ সবার মালিক 

ফখর উদ্দিন মোবারক শাহ


আল্লাহ মোদের  সবার মালিক  
আমরা গোলাম বান্দা,
তিনি দেন সবার রিযিক
বেশি কিংবা মান্দা।

ইজ্জত দেন তিনি
আবার কেড়েও নেন তিনি,
তাঁর ইশারায় ধনে ধনী
তাঁর ইশারায় ঋণী।

যাকে ইচ্ছা সম্পদ দেন,
দেন বিদ্যা বুদ্ধি,
বিপদ দিয়ে অভাব দিয়ে
করান আত্মশুদ্ধি।

হায়াত মওতের মালিক তিনি
তাঁর হকুমেই সব,
তিনিইতো মালিক সবার
তিনিই মোদের রব।

ছাগল ছানা - ফখর উদ্দিন মোবারক শাহ

ছাগল ছানা 

ফখর উদ্দিন মোবারক শাহ


ছাগল ছানা এপাশ ওপাশ
ইচ্ছেমতো লাফায়,
কভু এদিক কভু ওদিক
মাথা নেড়ে দাফায়।

একটু দূরে সখিনাদের
ছিলো মাটির চূলা,
সেই চূলাতে আগুন ছিলো
মুখ ছিলো তার খোলা।

হঠাৎ দৌড়ে তাধিন তাধিন
পড়লো ‍চূলায় ছানা,
চূলার ছালি চোখে লাগায়
ছাগল ছানা কানা।

পা দুটি ততক্ষণে
অনেক পুড়ে গেছে,
পানি ঢাললো ওর ওপরে
যারা ছিলো কাছে।

অবোধ ছানার হলো জানা
আগুন কত কড়া,
তাধিন তাধিন নাচ যে এখন
হলো তার সারা।

যেখানেই যায় ছাগল ছানা
চুপটি মেরে থাকে,
পা দুটি মুড়িয়ে সদা
ভ্যাঁ ভ্যাঁ করে ডাকে।

বৃহস্পতিবার, ৭ মে, ২০২০

গরম -ফখর উদ্দিন মোবারক শাহ

গরম

ফখর উদ্দিন মোবারক শাহ


গরম লাগে  সবখানে,
গরম ফ্যানের বাতাস,
এত গরমে ধৈর্য্য হারাই
করি হায়  ‍হুতাশ।
জৈষ্ঠমাসের ওই সূর্যটা
এত গরম ঢালে,
ঘামের জোয়ার বয় গরমে
শরীর গলে গলে।
ঠান্ডা কুক পানটা আন,
আন ফ্রিজের পানি,
তবু মন হয়না ঠান্ডা,
বরফ দাও আনি।
বরফ সেও মানলো হার,
জৈষ্ঠের গরম দিনে,
সূর্যকে কই, তেজ কমাও
দেব আলতা  কিনে।

কালবৈশাখী - ফখর উদ্দিন মোবারক শাহ

কালবৈশাখী 

ফখর উদ্দিন মোবারক শাহ


পাড়া -গাঁয়ে মাঝরাতিতে হানলো আঘাত ঝড়,
গাছ-পালা উপড়ে দিলো গুড়িয়ে দিলো ঘর।
ঘুম চোখে নেই ছলিম করিম কোথায় থাকবে রাতে,
ঘর বানাবে এমন টাকা নেইতো তাদের হাতে।
ধার চেয়ে পায়নি টাকা শেষে কী আর  করে,
হালের বলদ বিক্রি করলো অতি সস্তা দরে।
গরুর টাকায় ঘর বানালো বন্ধ এখন চাষ
কালবৈশাখী ঝড় এসে সব করলো সর্বনাশ।

গাঁয়ের পাখি - ফখর উদ্দিন মোবারক শাহ

গাঁয়ের পাখি
ফখর উদ্দিন মোবারক শাহ


দোয়েল,কোয়েল,শালিক পাখির কূজন শুনবি আয়
শহর ছেড়ে নীরব নিথর কাঁচা পথের গাঁয়।
পথের ধারে ঝোঁপের ঝাঁড়ে বুলবুলিরা উড়ে,
বকের সারি তেপান্তরে লোকায় মেঘের ক্রোড়ে।
বাবুই পাখি বাসা বাঁধে নারকেলের শাঁখে,
আয় ছুটে আয় আমার গাঁয়ের সোনাই নদীর বাঁকে।
টুনটুনিরা আপন মনে যখন তখন উড়ে,
বুলকি মারে হুতোম পেঁচা শিশির ভেজা ভোরে।
মাছরাঙা ধ্যান করে রয় পাকুর পাড়ের ঝোঁপে,
ভাসা মাছের দম কেড়ে নেয় ভীষণ মারণ চোপে,
এযে ঘুঘু পাখি,চুড়ুই পাখি কানা বগীর গাঁ,
কাঠ ঠুকরা শক্ত দাতেঁ গাছে মারে ঘা।
নাইরুলী দিঘীর ঘাটে টুপ টুপ দেয় ডুব,
চোখ জুড়ায় দেখিস যদি টিয়ে পাখির রুপ।
গায়ের মাঠে ক্ষেতের আলে ডাহুক করে খেলা,
হলদে পাখির করুণ সুরে মনে বাড়ে জ্বালা।
সবুজ রাঙা টিয়ে পাখির কচিৎ মিলে দেখা,
বসন্তে কোকিল ডাকে আপন মনে একা।

বৈশিষ্ট্যযুক্ত পোস্ট

শরতের আহবান -ফাতেমা রহমান

আয় আয় সখা- সখি কে কোথায় আছিস তোরা। শুভ্র কাশেরা কানে কানে বলে মনে আছে যত দ্বন্দ্ব, গ্লানি সব এবার কর সারা। শরৎ এসেছে,শুভ্র সতেজ ...