বৃহস্পতিবার, ২১ মে, ২০২০

প্রশংসা তোমার-কবি মোক্তার আহমেদ,সিলেট কৃষি বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষক।


 হে অধিপতি মহান, তোমারই স্তুতি বহমান,
আঠারো হাজার সৃষ্টিতে শ্রেষ্ঠাইয়াছ মানব সন্তান।
অংকুর গরিয়াছ মোদের জনক জননীর ভ্রুণকোষে,
তনু মোদের বাধিয়াছ নিপুণ দীর্ঘ শাসে।
লহু, পলল খাচায় বাধিয়া পাঠাইয়াছ পরবাসে,
পেনি ছাড়া পবন দিয়াছ মোদের ভালবেসে।
দুইশত ছয় কাঠির নির্জীব এই কক্ষে,
পেন্ডুলাম আনতশির করিয়াছ বাঁ বক্ষে।
মর্মদেশ মোদের কম্পিছে আটচল্লিশ হাজার প্রতি ষাটে,
অধিকম্প মোদের গুপ্ত হইলে বিলীন হইব এই হাটে।
জ্ঞাত মোদের দিইয়াছ মস্তিষ্কে করিতে শ্রেষ্ঠ,
সমগ্র সৃষ্টিরে সৃষ্টিলে করিতে মোদের তুষ্ট।
সৃষ্টি তোমার সেবিছে মোদের হুকুমে ক্রমাগত,
মোদের তুমি ফরমাশিলে করিতে মস্তকনত।
ফরমাইয়েশ ভূলিয়া মোরা চাইলাম দুনিয়াদারি,
মন্দ চোরার ফান্দে পড়িয়া করিলাম পুকুর চুরি।
হুকুম তোমার অমান্য করি, পাপ যে পর্বত সমান,
তবু ক্ষমা করিয়া যাও মোদের তুমি রহমান।

মঙ্গলবার, ১৯ মে, ২০২০

আমন্ত্রণ-নাসরিন জাহান

আকাশ নেমে এসো নিচে
বেয়ে বেয়ে স্বপ্নের তরী
চল আজ বনে উৎসব করি।
সব সময় উপরে থাকতে
তোমার ভালো লাগে
আমি সবুজে ভরা,
মুখরিত মাটির গন্ধে
কখনো আঁকাবাকা পথ দূরে অংকিত হয়
পাখিরা খুঁজে নেয় সবুজ আলয়।
বুনো ফুলেরা অভিরাম সুভাস দেয়
ঠিক আপনের ন্যায়।
এসো আজ উপভোগ করি
নেমে এসো নিচে
চলো আজ বনে উৎসব করি।
চাঁদ, তারা,সূর্য ছাড়া ও
তোমার দেয়ালে থাকে
কত নামি-দামি নক্ষত্র
আমার সবুজে আছে শুধু সজিবের সৌমিত্র
দিও না কিছু , নিয়ে যেও সবুজের জড়ি
শাল-পিয়ালের গন্ধে মাতোয়ারা হয়ে
চলে যাবে আবারও তারকা রাজির কাছে
যখন ক্রিং ক্রিং করে
বেজে যাবে সময়ের ঘড়ি
আকাশ , নেমে এসো নিচে
চলো আজ বনে উৎসব করি।
আমার কোথাও ঝোপের অন্ধকার
কোথাও বুনো ফুলের চমকপ্রদ বাহারি অলংকার
আকাশ, পিছিয়ে পড়বে সব কবিতার বাণী
প্রিয় দর্শনীই হবে বুনোফুলের রানী।
নেমে এসো নিচে
খুশিতে লুটিয়ে পড়ি
চলো আজ বনে উৎসব করি।।

শনিবার, ১৬ মে, ২০২০

সংক্ষিপ্ত সফর- কবি মোক্তার আহমেদ,বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষক।

সংক্ষিপ্ত সফর

কবি মোক্তার আহমেদ,বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষক।


সদা উতলায় রই ঘোর, এই সংক্ষিপ্ত সফর মোর, স্বল্প নিশির সংসার ভ্রমণে যাইতে হইবে বহু দূর। অনন্ত প্রভাতের যাত্রী আমি গন্তব্যের নাহি শেষ, কঠিন দড়িয়া পাড়ি জমাবো বাহনের নাহি রেশ। শুরু মোর হইয়াছিল জনক মস্তিষ্কের ভাঁজারে, জননী মোর ঠাই দিয়াছিল তাহার জঠরে। মন্দহীনে ছিলাম বেশ মাতৃকার উদরে, অশান্ত মন বিদ্রোহীল না থাকিতে কুটরে। দশকাল পর এলাম যখন মুক্ত সমীরণে, দৃষ্টিলাম ভূবন,পাহিলাম চলন মাতৃবিহনে। ইন্দন, বারি, মৃত্তিকা এই ত্রয়ের বন্ধনে, নিশি মোর শুরু হইল ক্ষুদার আলিংগনে। মধ্য নিশি হেলায় ফুরাইল নবীন যৌবনে, লৌহ বিদুৎ বহিল অংগে গহীন শব্দহীনে। কনীনিকায় নামিল কামলালসা লাবন্য বদনে, বিমুখ হইলাম রাজধিরাজের মন্দের কারণে। প্রান্ত নিশি আসিলে মোর তনু হইলে আবল্য, চেতনা জাগৃল অন্তরে ক্ষয়িতে নিশি কল্য। দ্বিপ্রহরে জাগৃত আমি চাহি মনিবের অনুকূল্য, মনিব সুধায় একে দিলাম সত্তর হইবেনা সমতূল্য। নিশির প্রান্তে শূন্য হীয়ায় কাকুতি অজরে, প্রভাতের ঝুলি মোর রইল অসার, এই সংক্ষিপ্ত সফরে।

শুক্রবার, ১৫ মে, ২০২০

শীতের ভোর - ফখর উদ্দিন মোবারক শাহ

 শীতের ভোর

ফখর উদ্দিন মোবারক শাহ 


হাড় কনকন শীত পড়েছে,
ভীষণ লাগে ‍ঠাণ্ডা,
ভোর-বিহানে সুবাস ছড়ায়,
খেজুর রসের ঘ্রাণটা।

খেজুর রসের গরম পায়েস
ভারি মজার নাস্তা,
রসের লিটার খুব দাম নয়,
কিনতে অনেক সস্তা।

রোদের ঝিলিক একটু খানি
যেথায় এসে পরে,
বুড়া-বুড়ি ,নাত-নাতনীরা
এসে সেথায় ভীড়ে।

মুড়িওয়ালা হাঁক ছাঁড়ে 
খৈ লাগবে খৈ খৈ,
নয়া ধানে টুকরি ভরি,
তাই দিয়ে খই লই।
আমন ধানের মাড়া হতে
ভেসে আসে ঘ্রাণ,
নতুন ধানের পিঠা খাবো
উঠলো নেচে প্রাণ।       

মঙ্গলবার, ১২ মে, ২০২০

মায়ের শূণ্যতা - ফখর উদ্দিন মোবারক শাহ

 মায়ের শূণ্যতা

ফখর উদ্দিন মোবারক শাহ


মা জননী নেই বাবুলের এই দুনিয়ার মাঝে,
বাবুল,বাবুল ডাকবে কে আর সকাল-সন্ধ্যা-সাঁঝে।
রাত পোহালে মা জননী তুলতো তারে ডেকে,
শিয়রে বসে হাত বুলাত স্নেহের পরশ এঁকে।
ঘুম থেকে উঠে বাবুল দেখত মাকে পাশে,
মায়ের মুখে চাদেঁর হাসি ঝলমলিয়ে ভাসে।
দুধের সর দিত মা চুপিচুপি তারে ডেকে,
চম্ চম্ ভাজা কিনে দিতো ফেরিওয়ালা থেকে।
বলতো বাবুল ,বড় হয়ে মা দিব কিনে শাড়ী,
তোমায় নিয়ে ঢাকা যাব, চড়ব চাকার গাড়ী।
বাবুল এখন বড় মহাজন ঢাকায় বাড়ী গাড়ী,
মা আজ নেই দুনিয়ায় গেলেন সবই ছাড়ি।
থাকলে মা হতেন খুশি পরাণ যেত ভরে,
বুঝবে সে জন বুকের বেদন মা নেই যার ঘরে।

খোকার ইচ্ছা -ফখর উদ্দিন মোবারক শাহ

খোকার ইচ্ছা

ফখর উদ্দিন মোবারক শাহ


নানী বাড়ী যাবে খোকা পালতোলা নায় চড়ে,
সেথায় গিয়ে মিশে যাবে ফুল-পাখিদের ভীড়ে।
পাখির মত পালক-ডানা থাকত যদি তার,
ফুড়ুৎ করে উড়ে গিয়ে হতো নদী পার।
এ বন হতে ও বন যেতো পাখায় করে ভর,
দেখত উড়ে শালিক পাখি কেমনে বাধে ঘর।
হতো যদি প্রজাপতি ঘুরতো ঘাসের বনে,
হাতেম তাঈর কেচ্ছা বলতো ফুলের কানে কানে।
আবার ভাবে হতো যদি নিজেই গোলাপ ফুল,
সুবাস দিয়ে ভোমারাদের করত সে আকুল।
নিজের গায়ে বসতে দিতো সতেজ দলের পিড়ি,
দেখতো কেমনে মক্ষিকারা মধু করে চুরি।
হতো যদি ডলফিন সে কিংবা তিমি মাছ,
দেখতো চেয়ে হাঙর - চাঁদা কেমনে খেলে নাচ।
ফুলপাখিদের ভাল্লাগে তার মন চায় করতে দোস্তি 
ভাল্লাগেনা কারো সনে করতে তার কুস্তি

বুলবুলি- ফখর উদ্দিন মোবারক শাহ






বুলবুলি

ফখর উদ্দিন মোবারক শাহ

বুলবুলি কেওয়ার ঝোঁপে বেধেছে একটি ঘর,
একটুখানি বায়ুর ঝাঁপটায় হয় তা নড়বড়,
তাতেই একদিন স্ত্রী বুলবুলি পারলো চারিডিম,
বাসাখানি অদূর হতে দেখায় টিম টিম।
স্ত্রী বুলবুলি তা’ দেয় তাতে পুং বুলবুলি উড়ে,
ছোট ফড়িং পোকামাকড় ঝাঁপ মেরে ধরে।
আহার এনে দেয় সে স্ত্রী বুলবুলির মুখে,
পরম মমতায় নিজ ডিমগুলো আগলালো যে বুকে।
প্রাত: কালে ঝোঁপের অদূরে বসি আমি রোজরোজ,
আমার দু’চোখ এক পলকে নেয় ওদের খোঁজ।
ওদের দেখে ভাল লাগে মনটা পিয়ে সুখ,
সুযোগ পেলে ওদের দেখে জুড়াই আমার চোখ।
গরমের ছুটি শেষ তাই ফিরলাম আমার স্কুলে,
স্কুল হোষ্টেলে ঘুমে দেখি বুলবুলির ঝোঁপ দোলে
মনটা আমার আনচান করে ফিরে যেতে বাড়ী,
এই বুলবুলিরা আসার কালে হৃদয় রাখলো কাড়ি।
বান এলো তাই বন্ধ স্কুল চলে এলাম বাড়ী,
গিয়ে দেখি মাঠের বুকে স্রোতের গড়াগড়ি,
ডোবার পাড়ে কেওয়ার ঝোঁপ জলের নিচে চাপা,
বুলবুলিদের কথা ভেবে মনটা লাগলো কাঁপা।
অজান্তে মোর আঁখিদ্বয় কান্না করলো শুরু,
কোথায় গেল বুলবুলিরা বলতে কি কেউ পারো?
বাড়ী থেকে খোঁজলাম আমার স্বপ্নের দু’টো পাখি,
খোঁজ পেলামনা ফিরে এলাম আজো কাঁদে আঁখি।

বৈশিষ্ট্যযুক্ত পোস্ট

শরতের আহবান -ফাতেমা রহমান

আয় আয় সখা- সখি কে কোথায় আছিস তোরা। শুভ্র কাশেরা কানে কানে বলে মনে আছে যত দ্বন্দ্ব, গ্লানি সব এবার কর সারা। শরৎ এসেছে,শুভ্র সতেজ ...