শুক্রবার, ১৫ মে, ২০২০

শীতের ভোর - ফখর উদ্দিন মোবারক শাহ

 শীতের ভোর

ফখর উদ্দিন মোবারক শাহ 


হাড় কনকন শীত পড়েছে,
ভীষণ লাগে ‍ঠাণ্ডা,
ভোর-বিহানে সুবাস ছড়ায়,
খেজুর রসের ঘ্রাণটা।

খেজুর রসের গরম পায়েস
ভারি মজার নাস্তা,
রসের লিটার খুব দাম নয়,
কিনতে অনেক সস্তা।

রোদের ঝিলিক একটু খানি
যেথায় এসে পরে,
বুড়া-বুড়ি ,নাত-নাতনীরা
এসে সেথায় ভীড়ে।

মুড়িওয়ালা হাঁক ছাঁড়ে 
খৈ লাগবে খৈ খৈ,
নয়া ধানে টুকরি ভরি,
তাই দিয়ে খই লই।
আমন ধানের মাড়া হতে
ভেসে আসে ঘ্রাণ,
নতুন ধানের পিঠা খাবো
উঠলো নেচে প্রাণ।       

মঙ্গলবার, ১২ মে, ২০২০

মায়ের শূণ্যতা - ফখর উদ্দিন মোবারক শাহ

 মায়ের শূণ্যতা

ফখর উদ্দিন মোবারক শাহ


মা জননী নেই বাবুলের এই দুনিয়ার মাঝে,
বাবুল,বাবুল ডাকবে কে আর সকাল-সন্ধ্যা-সাঁঝে।
রাত পোহালে মা জননী তুলতো তারে ডেকে,
শিয়রে বসে হাত বুলাত স্নেহের পরশ এঁকে।
ঘুম থেকে উঠে বাবুল দেখত মাকে পাশে,
মায়ের মুখে চাদেঁর হাসি ঝলমলিয়ে ভাসে।
দুধের সর দিত মা চুপিচুপি তারে ডেকে,
চম্ চম্ ভাজা কিনে দিতো ফেরিওয়ালা থেকে।
বলতো বাবুল ,বড় হয়ে মা দিব কিনে শাড়ী,
তোমায় নিয়ে ঢাকা যাব, চড়ব চাকার গাড়ী।
বাবুল এখন বড় মহাজন ঢাকায় বাড়ী গাড়ী,
মা আজ নেই দুনিয়ায় গেলেন সবই ছাড়ি।
থাকলে মা হতেন খুশি পরাণ যেত ভরে,
বুঝবে সে জন বুকের বেদন মা নেই যার ঘরে।

খোকার ইচ্ছা -ফখর উদ্দিন মোবারক শাহ

খোকার ইচ্ছা

ফখর উদ্দিন মোবারক শাহ


নানী বাড়ী যাবে খোকা পালতোলা নায় চড়ে,
সেথায় গিয়ে মিশে যাবে ফুল-পাখিদের ভীড়ে।
পাখির মত পালক-ডানা থাকত যদি তার,
ফুড়ুৎ করে উড়ে গিয়ে হতো নদী পার।
এ বন হতে ও বন যেতো পাখায় করে ভর,
দেখত উড়ে শালিক পাখি কেমনে বাধে ঘর।
হতো যদি প্রজাপতি ঘুরতো ঘাসের বনে,
হাতেম তাঈর কেচ্ছা বলতো ফুলের কানে কানে।
আবার ভাবে হতো যদি নিজেই গোলাপ ফুল,
সুবাস দিয়ে ভোমারাদের করত সে আকুল।
নিজের গায়ে বসতে দিতো সতেজ দলের পিড়ি,
দেখতো কেমনে মক্ষিকারা মধু করে চুরি।
হতো যদি ডলফিন সে কিংবা তিমি মাছ,
দেখতো চেয়ে হাঙর - চাঁদা কেমনে খেলে নাচ।
ফুলপাখিদের ভাল্লাগে তার মন চায় করতে দোস্তি 
ভাল্লাগেনা কারো সনে করতে তার কুস্তি

বুলবুলি- ফখর উদ্দিন মোবারক শাহ






বুলবুলি

ফখর উদ্দিন মোবারক শাহ

বুলবুলি কেওয়ার ঝোঁপে বেধেছে একটি ঘর,
একটুখানি বায়ুর ঝাঁপটায় হয় তা নড়বড়,
তাতেই একদিন স্ত্রী বুলবুলি পারলো চারিডিম,
বাসাখানি অদূর হতে দেখায় টিম টিম।
স্ত্রী বুলবুলি তা’ দেয় তাতে পুং বুলবুলি উড়ে,
ছোট ফড়িং পোকামাকড় ঝাঁপ মেরে ধরে।
আহার এনে দেয় সে স্ত্রী বুলবুলির মুখে,
পরম মমতায় নিজ ডিমগুলো আগলালো যে বুকে।
প্রাত: কালে ঝোঁপের অদূরে বসি আমি রোজরোজ,
আমার দু’চোখ এক পলকে নেয় ওদের খোঁজ।
ওদের দেখে ভাল লাগে মনটা পিয়ে সুখ,
সুযোগ পেলে ওদের দেখে জুড়াই আমার চোখ।
গরমের ছুটি শেষ তাই ফিরলাম আমার স্কুলে,
স্কুল হোষ্টেলে ঘুমে দেখি বুলবুলির ঝোঁপ দোলে
মনটা আমার আনচান করে ফিরে যেতে বাড়ী,
এই বুলবুলিরা আসার কালে হৃদয় রাখলো কাড়ি।
বান এলো তাই বন্ধ স্কুল চলে এলাম বাড়ী,
গিয়ে দেখি মাঠের বুকে স্রোতের গড়াগড়ি,
ডোবার পাড়ে কেওয়ার ঝোঁপ জলের নিচে চাপা,
বুলবুলিদের কথা ভেবে মনটা লাগলো কাঁপা।
অজান্তে মোর আঁখিদ্বয় কান্না করলো শুরু,
কোথায় গেল বুলবুলিরা বলতে কি কেউ পারো?
বাড়ী থেকে খোঁজলাম আমার স্বপ্নের দু’টো পাখি,
খোঁজ পেলামনা ফিরে এলাম আজো কাঁদে আঁখি।

সোমবার, ১১ মে, ২০২০

বৃষ্টি এলো- ফখর উদ্দিন মোবারক শাহ

বৃষ্টি এলো 
ফখর উদ্দিন মোবারক শাহ 

আকাশটা ঢেকে দিলো কালো মেঘের ভেলা,
সূর্য আর মেঘে মেঘে লুকোচুরি খেলা।
শীতল বায়ু উড়ে এসে গরম নিলো চুষে,
গরু নিয়ে বাড়ি ফিরছে রাখালেরা রুসে।
ডোরে বাধা ছাগলগুলো করলো ভ্যাঁ ভ্যাঁ শুরু,
ওদেরকে বাড়ি আনতে মাঠে গেল নুরু।
মেঘে মেঘে ঘর্ষণ লেগে বিজলী চমকে উঠে,
ঝাঁকে ঝাঁকে পাখিরা নীড়ের দিকে ছুটে।
পুকুর পাড়ে বাধা গরু হাম্বা হাম্বা ডাকে,
ফিরে ফিরে তাকায় তারা আমার মুখের দিকে।
একদৌঁড়ে পুকুর পাড়ে আনতে গেলাম গরু,
দখিন দিকে প্রবলবেগে বৃষ্টি হলো শুরু।
গরুটাকে গোয়াল ঘরের কোণে বাধার কালে,
বৃষ্টির ঝড়ি ধাক্কা দিল মোদের ঘরের চালে।

কাদা-ফখর উদ্দিন মোবারক শাহ

কাদা
ফখর উদ্দিন মোবারক শাহ

বৃষ্টির পানি জমে হয়েছে কাদা,
আজকাল কাদা হলো পথের বাধা।
জামায় কাদা লাগে হাঁটতে গেলে,
কেউ বা পরে যায় পা পিছলে।
শরীরে লেগে যায় কাদার ছিটা,
বন্ধুরা জুড়ে দেয় হাসি ঠাট্টা।
রাস্তায় চলাচলে হয় খুব কষ্ট,
কাদা লেগে সুজুতা হয়ে যায় নষ্ট।
কাদা পথে বেড়ে যায় গাড়ির ভাড়া,
উপায় নেই ও পথে হাঁটা ছাড়া।
খালি পায়ে পথ হেঁটে পায়ে হয় ঘা,
তেমনি কষ্টে চলে মানুষ যেখানে গাঁ।

বৃষ্টি - ফখর উদ্দিন মোবারক শাহ

বৃষ্টি 


ফখর উদ্দিন মোবারক শাহ

দিনভর বৃষ্টি ঝরছেতো ঝরছেই,
জেলেরা নদে মাছ ধরছেতো ধরছেই,
বৃষ্টিতে মাঠ-ঘাট ভরছেতো ভরছেই,
বৃষ্টিতে ভিজে গরু চড়ছেতো চড়ছেই,
ঝরছেই, ধরছেই, ভরছেই ,চড়ছেই,
বৃষ্টির পানি ড্রেন দিয়ে সরছেই।।

গাছের লতা-পাতা দুলছেতো দুলছেই,
কৃষক মাঠে কাজ করছেতো করছেই,
ডানামেলে শালিক উড়ছেতো উড়ছেই,
মিষ্টি সুরে দুয়েল ডাকছেতো ডাকছেই,
দুলছেই, করছেই, উড়ছেই, ডাকছেই,
কালোমেঘের ভেলাগুলো আকাশটা ঢাকছেই।

বৈশিষ্ট্যযুক্ত পোস্ট

শরতের আহবান -ফাতেমা রহমান

আয় আয় সখা- সখি কে কোথায় আছিস তোরা। শুভ্র কাশেরা কানে কানে বলে মনে আছে যত দ্বন্দ্ব, গ্লানি সব এবার কর সারা। শরৎ এসেছে,শুভ্র সতেজ ...